তারেকের আত্মসমর্পণ : ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখবেন হাইকোর্ট
অবৈধভাবে অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আদালতের আদেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেন কিনা তা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখবেন হাইকোর্ট। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো আত্মসমর্পণের সমন পৌঁছেছে কি-না, তা বিচারিক আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সিএমএম আদালত হাইকোর্টকে জানিয়েছেন- প্রথমে তারা হাইকোর্টের আদেশ বোঝেননি। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি আবারো সমন পাঠানো হয়েছে। এ কারণে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ১৬ মার্চ পর্যন্ত আদালত দেখবে তারেক রহমান আদেশ পালন করেন কি-না। এরপর ওইদিন পরবর্তী আদেশে দেবেন।
মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে করা মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গত ১২ জানুয়ারি সমন জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে সমন জারির নোটিশ পাঠাতে বলেছেন। একইসঙ্গে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সমন প্রেরণ ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থের লেনদেনের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে খালাসের আদেশ বাতিল চেয়ে আনা আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্যে গত ৩ জানুয়ারি আবেদন করে দুদক।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। একই মামলায় তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল আবেদন দায়ের করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
এফএইচ/এসএইচএস/পিআর