অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কথা ভাবছে ইসি


প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৬

আগামীতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান চালুর বিষয়টি চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বাধা, মারামারিসহ বিভিন্ন অঘটন এড়াতে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।  

এজন্য নতুন করে নীতিমালা করবে ইসি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপগুলোতেই এ বিধান চালু হতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনলাইনে তা পূরণ ও জমা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন এর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে অতি দ্রুত এটি কার্যকর করা হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে (ই-ফাইলিং) মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান চালুর বিষয়টি বেশ আগেভাগেই চিন্তা ভাবনা করেছিল ইসি।  চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলতে ও জমা দিতে বাধা দেয়া এবং মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলাসহ বিবিধ অভিযোগ ওঠায়, কমিশন নতুন করে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে একজন কমিশনার এ বিষয়টি প্রস্তাব করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা তাকে সমর্থন করেন এবং চলমান ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের সময় এটা চালু করা যায় কি না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলামকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই এই বিষয়টি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বাস্তবায়ন করার চিন্তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার প্রক্রিয়া কী হবে সেটা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় বলে দেয়া হয়েছে। আর এর বাইরে কিছু করা যাবে না। কাজেই ই-ফাইলিংয়ের জন্য এই বিধির পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে।  আমরা বিধি পরিবর্তন করেই এটা করবো।

অবশ্য নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমিশনের আন্তরিকতা থাকলেও তৃতীয় ধাপ থেকে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধানটি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাদের মতে ই-ফাইলিংয়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরি ও বিধিমালা সংশোধন দু’টিতেই সময়ের প্রয়োজন। তারা জানান, বিধিমালায় সংশোধন সামান্য হলেও তাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের দরকার হবে। অপরদিকে সফটওয়্যার তৈরির জন্যও একটা সময়ের দরকার পড়বে।

এইচএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।