দুবাইতে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩
ফাইল ছবি

নিজ দেশে তথ্য গোপন করে দুবাইতে অবস্থানরত ৪৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: দুদক-এনবিআরসহ চার সংস্থাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ

‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দুবাইতে অবস্থানরত ৪৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ কেনার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই নির্দেশনার পরই দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক গণমাধ্যমকে জানান, আদালত বিষয়টি আমাদের তদন্ত করতে বলেছেন। তবে আদেশটা হাতে পাইনি। আদেশ পেলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করবো। তদন্ত করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হবে। দেশ থেকে অর্থপাচার হয়ে থাকলে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।

আরও পড়ুন: অর্থ পাচারে উৎসাহ, আমিরাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি

হাইকোর্টের ওই আদেশে বিষয়টি নিয়ে দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউজে) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকে টাকা রাখছেন কোন বাংলাদেশিরা?

একাধিক সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সি৪এডিসি) গত বছরের মে মাসে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে উপসাগরীয় দেশগুলোতে মূলত পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি উঠে আসে। তখন বাংলাদেশের ৪৫৯ নাগরিকের তথ্য গোপন করে দুবাইতে সম্পদ কেনার তথ্যও সামনে আসে।

আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে হাইকোর্টের শুনানি রোববার

জানা যায়, দেশে তথ্য গোপন করে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি দুবাইতে মোট ৯৭২টি আবাসন সম্পদের মালিক হয়েছেন। এজন্য তারা ব্যয় করেছেন ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। এসব সম্পদের মধ্যে ৬৪টি দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা দুবাই মেরিনা ও ১৯টি পাম জুমেইরাহতে অবস্থিত। যেখানে অন্তত ১০০টি ভিলা ও কমপক্ষে ৫টি ভবনের মালিক বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক। যদিও প্রতিবেদনে কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।