প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবেই মানবতাবিরোধীদের বিচার হচ্ছে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণেই মানবতাবিরোধীদের বিচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।”
মঙ্গলবার সকালে মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুবে আলম বলেন, আজ (মঙ্গলবার) মীর কাসেমের রায় দিতে পাঁচজন বিচারপতির বসার কথা ছিল। সেখানে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৯ জনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বসানো হয়।
একাত্তরে সব মানতাবিরোধীদের বিচার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই হচ্ছে উল্লেখ করে বিচার এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপোষহীন ভূমিকাকে ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসাবে অভিহিত করেন মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, “আমি প্রত্যাশিত ফল পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধী যারা সেই সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের পাকিস্তানের নেতা ছিলেন, সেই নিজামী দণ্ডিত হয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তানের যিনি সভাপতি ছিলেন, মুজাহিদ দণ্ডিত হয়েছেন। মুজাহিদের সঙ্গে মীর কাসেম ছিলেন সেক্রেটারি, তিনিও আজ দণ্ডিত হয়েছেন।”
মীর কাসেম দণ্ডিত না হলে ন্যায় বিচারের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আদলতের বাইরে বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, “যারা মনে করেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এটা ভ্রান্ত। শেখ হাসিনা যদি না থাকতেন, নির্বাহী বিভাগে এরকম দৃঢ় মনোভাবের একজন না থাকলে এটা হত না। তাদের মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এই বিচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলা হয়েছিল।”
তিনি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন ‘বিচার বিভাগ নিয়ে দু’জন মন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি খুবই মর্মাহত। তাদের আদালতে হাজির হতে হবে। তাদের বক্তব্যের জন্য কেন তাদের দণ্ডিত করা হবে না তা জানতে চাওয়া হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলে, প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বলে দিয়েছেন এটা সরকারের বক্তব্য নয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এ বিচার হচ্ছে। এটা নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা সরকারের ইশতেহার ছিল। সে অনুযায়ীই বিচার হচ্ছে।
এফএইচ/আরএস/এবিএস