সংবিধান সমুন্নত সংগ্রামী আইনজীবী পরিষদের আলোচনা সভা
আদালতের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে রিটের শুনানি না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। যদি তাই হয়, তাহলে ২৩ বছর পরে কিভাবে একটি রিটের রুল ইস্যু হয়? তাও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘সংবিধান সমুন্নত সংগ্রামী আইনজীবী পরিষদ’ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্ম হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তারা আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়াই স্বাভাবিক। আজ যারা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
‘সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ মাহবুব আলম।
এছাড়া আলোচনা করেন- বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম এম আনোয়ার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ, ফার্মাসিস্ট আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান, অ্যাডভোকেট গোলাম রহমান, অ্যাডভোকেট হাসান শহীদ কামরুজ্জামান দুর্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘যারা বলে রষ্ট্রের কোনো ধর্ম নেই, ধর্ম হলো ব্যক্তির কিংবা রাষ্ট্রে একাধিক ধর্মাবলম্বী রয়েছে, ফলে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। যদি তাই হয়, তাহলে একইভাবে রাষ্ট্রের কোনো ভাষাও থাকতে পারে না। কারণ, রাষ্ট্র কখনো কথা বলে না। কথা বলে ব্যক্তি। অথচ এদেশে চাকমা, সাওতাল, মারমা, বিহারীসহ বহু ভাষাভাষী লোক রয়েছে।’
তারা আরো বলেন, যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে চায়, তারা এই দেশকে সেক্যুলার রাষ্ট্র বানাতে চায়। আমরা সেক্যুলার রাষ্ট্রগুলোর কথা জানি। সেখানে প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, নারীরা ধর্ষণের শিকার হন। তারা এমন একটি রাষ্ট্র বানাতেই রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিতে চান?
বক্তারা আরো বলেন, অষ্টম সংশোধনী নিয়ে করা মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। তখন কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দেয়া হয়নি। তাহলে নতুন করে আবার তাতে হাত দেয়া হলো কেন?
তারা বলেন, হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে ৩০ দিনের মধ্যে রিটের শুনানি না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। যদি তাই হয়, তাহলে ২৩ বছর পর কিভাবে একটি রিটের রুল ইস্যু হয়? তাও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে।
এফএইচ/এসএইচএস/একে/পিআর