ধানমন্ডি
২০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ প্রাণ-আরএফএলের
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও সচেতনতা তৈরিতে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে ধানমন্ডি থেকে সব ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেন প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী।
‘পরিবেশ বাঁচলেই বাঁচবে পৃথিবী’ এই স্লোগানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ক্যাম্পেইনে অংশ নেন তারা। এসময় স্বেচ্ছাসেবীরা টি-শার্ট, ক্যাপ, হাতে গ্লাভস পড়ে পলি ব্যাগ, প্যাকেট, একবার ব্যবহৃত সব ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার ও সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: দেশের ২৪ জেলার প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবে প্রাণ-আরএফএল
এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভালো লাগছে। নানাভাবে আমরা পরিবেশ নষ্ট করছি। আমরা চা খেয়ে বা পানির খালি বোতল যেখানে-সেখানে ফেলে দেই। একবারও ভাবি না এটা পরিবেশ নষ্ট করবে। তাই আমাদের সবার সচেতন হওয়া দরকার।
মাহবুবুল হাসান নামে আরেক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আমরা চাই আমাদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকুক। প্লাস্টিক বর্জ্য যেহেতু নষ্ট হয় না তাই এটাকে কীভাবে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও আমাদের চ্যালেঞ্জ
ধানমন্ডি লেক এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আকরামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দেশের নানা দুর্যোগে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি। এছাড়া নানা সময়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। পরিবেশ রক্ষায় বছরব্যাপী আমাদের কার্যক্রম থাকে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য যেন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় তার জন্য আমরা এই কাজ করছি।
তিনি বলেন, পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো প্লাস্টিক। এটা যেন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না হয় তার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা সাধারণ মানুষকে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ফেলা হয় এই সচেতনতার তৈরি করছি।
আরও পড়ুন: ফুটপাতে পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করলো প্রাণ-আরএফএল
প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার টন ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলো পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে প্রাণ-আরএফএল। যা দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য। এতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানি করা যায় এসব পণ্য।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ক্যাম্পেইনটি সারাদেশের ২৪ জেলার ৫৮ স্থানে হবে।
আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস