আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে না ডেকে ইসিই ছুটছে তাদের কাছে


প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

যেকোন নির্বাচনের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, করণীয় ঠিক করতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাধারণত কোনো মিলনায়তনে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে রীতি ভেঙে এবার উল্টোটা করছে ইসি। অর্থাৎ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের নির্দিষ্ট একটি স্থানে না ডেকে তাদের কাছেই যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের এক কমিশনারের নজীরবিহীন এমন কাণ্ডে হতবাক অনেকেই। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্য এক নির্বাচন কমিশনারও। প্রশ্ন রেখেছেন, ইসি আর কত নীচে নামবে?

ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বশেষ অবস্থা জানতে জাবেদ আলীর সোমবার বিকেল থেকে বিভিন্ন দফতরে যাওয়ার কথা। এরমধ্যে কথা রয়েছে, সোমবার বিকেলে তিনি পুলিশ সদর দফতরে যাবেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যাবেন বিজিবি সদর দফতরে, বিকেল ৩টায় আনসার সদর দফতরে, বুধবার বেলা ১১টায় কোস্টগার্ড সদর দফতরে ও বিকেল ৩টায় র‌্যাব সদর দফতরে যাবেন তিনি।

দফতরে দফতরে ঘুরে বিভিন্ন বাহিনীর ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যানের বিষয়ে অবহিত হবেন তিনি।

ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন ইসির অধীনে। সাংবিধানিক এ সংস্থার একজন নির্বাচন কমিশনারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বশেষ অবস্থা জানতে তাদের সদর দফতরে যাওয়ায় ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছেন আরেক নির্বাচন কমিশনার।

দুপুর নিজ কার্যালয়ে বসে একজন নির্বাচন কমিশনারের সফরসূচি দেখে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ইসি আর কত নীচে নামবে?

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেন ৩ মার্চ। এর ১০ দিন পর পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড ও র‌্যাব সদর দফতর পরিদর্শনসূচি রেখেছেন জাবেদ আলী। শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠকের পর আলাদাভাবে সদর দফতরে গিয়ে ‘অবহিত’ হওয়ার রীতি আগে দেখেননি ইসি কর্মকর্তারা।

২২ মার্চ প্রথম ধাপের ইউপি ভোট হবে। পরবর্তীতে আরো ৫ ধাপের ভোটের দিন নির্ধারণ করা রয়েছে। ৪ জুন পর্যন্ত এ ভোট চলবে।

এইচএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।