চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত : রাষ্ট্রপতি

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাতৃভূমি এবং দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না। সেবা,সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে সনদের মান উজ্জ্বল রাখতে হবে। তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। নিজেদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়। হারিয়ে যায় মানুষের বাক স্বাধীনতা, মতামত ও চিন্তার স্বাধীনতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছেন।
 
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।

সম্প্রতি চুয়েটে সিভিল অ্যান্ড ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে পানি সম্পদ রক্ষা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোবটিক্স, ন্যানোটেকনোলজিসহ নতুন নতুন গবেষণায় এ বিভাগ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ,চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হজরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ড. মোস্তাফা কামাল ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

এবারের সমাবর্তনে স্নাতকে ১ হাজার ৫৬৪ জন, মাস্টার্সে ৩২ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা চারজন এবং পিএইচডিতে তিনজনকে ডিগ্রি দিয়েছে চুয়েট। এর মধ্যে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন চারজন। সমাবর্তনে এবারই প্রথম পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ থেকে প্রকৌশল ডিগ্রি দেয়া হয়।

জীবন মুছা/এসকেডি/এবিএস