তিউনিসিয়ার নারী কারাগার


প্রকাশিত: ০৭:১২ এএম, ২১ মার্চ ২০১৬

তিউনিসিয়ায় শুধুমাত্র নারীদের জন্য একটি বিশেষ কারাগার রয়েছে। নারী অপরাধীদের সেখানে রাখা হয়। নারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হলেও দিনে দিনে কারাগারটি জনাকীর্ণ হয়ে পড়ছে। খবর বিবিসির।

ওই কারাগারের এক তরুণী জানান, গাঁজা সেবনের অপরাধে তিন সপ্তাহ ধরে তিনি কারাগারে আছেন। একই অপরাধে তার স্বামীও রয়েছেন কারাগারে। দেশটিতে আইন অনুযায়ী এই অপরাধের স্বয়ংক্রিয় শাস্তি অন্তত এক বছরের কারাদণ্ড।

ওই নারীর তিন শিশুসন্তানকে এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে। সন্তানদের কথা স্মরণ করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার বাচ্চাদের কথা খুব মনে পড়ে। আমি তাদের কাছে যেতে চাই। অনেক দেশে এ ধরনের মাদক অপরাধের কোন মামলাই নেই। শুধু আমাদের আছে। এ কারণে অনেক মানুষের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সামান্য অপরাধে কারো কারো পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

কারাগারের অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে সামান্য দূরেই শিশুদের একটি নার্সারি আছে। কারাগারে উন্নয়নের একটি চিহ্ন হচ্ছে এই নার্সারিটি। এই স্থানটি সন্তানসহ মা এবং সন্তানসম্ভবা নারীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়। এখানে আনাল নামের এক নারী বলেন, সই জাল করার অভিযোগে ৫ মাস ধরে তিনি এই কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বিনা অপরাধে তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে নির্দোষ বলছেন তিনি।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচার মন্ত্রণালয়ের উচিত সই জালের মতো মামলা দ্রুত বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সমাধান করা। ধীরগতির বিচারপ্রক্রিয়া আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। আমার সন্তান কেন এখানে জন্ম নেবে? তারা বলছে, এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে সমস্যা সমাধানের জন্য। কিন্তু তারপরও এটাতো একটা কারাগার।

নারীদের কারাগারটিতে প্রায় ৪২০ জন বন্দী রয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীর মিশ্রণ তৈরি হয়েছে।
কেউ হয়তোবা এখানে আছেন চুরির মতো সামান্য অপরাধে আবার কেউ আছেন গুরুতর অপরাধে।

কারাগারটির পরিচালক জামিলা স্মিদা বলেন, নারীদের জন্য নির্মিত এই কারাগারটির কারাব্যবস্থা সংস্কারের একটি বড় উদাহরণ। তবে তাদের কিছু করার খুব বেশি সুযোগ নেই। আর এক্ষেত্রে সমস্যা শুধু কারা প্রশাসনের নয়। বিচারব্যবস্থা এবং শাস্তির বিধানেও সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।