জন্মনিবন্ধন নিয়ে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন: মেয়র আতিক
জন্মনিবন্ধন নিয়ে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার একদিন ঠিক থাকে তো আরেক দিন ঠিক থাকে না। এ সার্ভার সার্বক্ষণিক যাতে ঠিক থাকে এজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বারবার লিখিত জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এটা যদি দ্রুত ঠিক না করা হয়, তাহলে সামনে স্কুল-কলেজে ভর্তির সময় জনগণ আরও কঠিন, সীমাহীন দুর্ভোগে পড়বেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনে ‘আগামীর অনুপ্রেরণা’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আর্ট ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন>> টাকা দিলে আগে মেলে জন্মনিবন্ধন সনদ
মেয়র বলেন, জন্মনিবন্ধনের টোটাল দায়িত্ব রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের। সিটি করপোরেশন শুধু তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আমরা যখনই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে যাই, তখনই দেখি সার্ভার বন্ধ। এ দোষ কিন্তু সিটি করপোরেশনের ওপর আসছে। আমি এমন কোনো দিন পাই না, যে দিন আমাকে কেউ জন্মনিবন্ধন নিয়ে অভিযোগ করে না। সবাই জানে এটা সিটি করপোরেশনের কাজ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এ দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের না। এই সমস্যা থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে দ্রুত সময়ে জন্মনিবন্ধন সফটওয়্যারের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।
উত্তর সিটি এলাকার জন্মনিবন্ধনের দায়িত্ব কাউন্সিলর কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে ডিএনসিসির পৃথক ১০টি অঞ্চল থেকে জন্মনিবন্ধন দেওয়া হতো। এ সেবা সহজ করতে এখন ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড কার্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সচিবই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জন্মনিবন্ধন দিতে পারবেন। কিন্তু সার্ভারে সমস্যা থাকায় তারা ঠিকমতো কাজটা করতে পারছে না।
এমএমএ/ইএ/এমএস