এবার টেলিগ্রামে এনআইডির তথ্য, নজরদারিতে মোবাইল অপারেটররা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

সম্প্রতি টেলিগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। টেলিগ্রামে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় মোবাইল অপারেটরসহ সব পার্টনার সার্ভিসকে নজরদারির আওতায় এনেছে ইসি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজারকে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে দেন এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর।

জনগণের মোবাইল নম্বরসহ ডিটেইল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো কীভাবে সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে এনআইডি ডিজি বলেন, ইন্টারনেটের যুগে সব কিছু সম্ভব। নানান জনের কাছে আমাদের নানান তথ্য আছে। সব জায়গা থেকে ডেটা নিয়ে এগুলো করতে পারে। আমাদের এখান থেকে তথ্য যায়নি। কাজেই আমরা তো বলতে পারবো না।

১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ কি করেছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সিস্টেম ম্যানেজারকে নিয়ে। তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে বলতে পারবো। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে এমন কিছু বলা হয়নি। যাদের কাছ থেকে তথ্য গেছে বলে সন্দেহ হয়েছে, সবার সার্ভিস দেওয়া বন্ধ আছে। কত প্রতিষ্ঠান সেটা এ মুহূর্তে বলা যাবে না। তদন্তের পর বলা যাবে। সরকারি-বেসরকারি, আমাদের কাছে সেবা নিচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানই রয়েছে এর মধ্যে।

তিনি বলেন, মোবাইল কোম্পানি হয়তো মোবাইল নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। আমি-তো বলছি যে পাঁচ জনের কাছ থেকে পাঁচ রকম তথ্য নিচ্ছে। পৃথিবীতে এ চক্রটা আনএথিক্যাল চক্র। এটাই আমরা বের করতে চাচ্ছি। এই চক্রটা কারা।

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পার্টনারদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সেবা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারছি না। তদন্তের পরে দোষী যে হবে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। জরিমানা করার কোনো বিধান নেই। জরিমানা করেই বা কী হবে? মোবাইল অপারেটরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। আমরা সেটিই তদন্ত করে দেখছি।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনে আবেদন করেন তখন প্রাইভেসি থাকে নাকি? যখন নিকাহ নিবন্ধন করেন তখন কী প্রাইভেসি থাকে? প্রাইভেসি বলতে পৃথিবীতে টেকনোলজির যুগে কিছু থাকে না। টেকনোলজির যুগে আপনার প্রাইভেসি, আপনার তথ্য সবকিছু ইয়ে হয়ে যায়।

সর্বোচ্চ ব্যবস্থা কী আছে, সেটা নেবেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ব্যবস্থা আছে যারা সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্সে কাজ করে, সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স থেকেই হয় সব সময়, সফটওয়্যার যারা লুক আফটার করে, যদি হয় তাহলে ব্ল্যাক লিস্টেড করার জন্য আমরা সুপারিশ করবো। সে যেন বাংলাদেশে কোথাও কাজ না পায়।

এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।