তরুণদের রাজনীতিমুখী করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

অসহিষ্ণু রাজনীতি যুব সমাজকে ধারণ করতে পারছে না। ফলে তরুণরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও রাজনীতিবিদদের নিজেদের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটরিয়ামে যুব সম্মেলন-২০২৩ এ এসব কথা বলেন রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা হক অদিতি বলেন, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতা প্রবণ রাজনীতির ভেতর আমরা বাস করছি। এই অসম্ভব অসহিষ্ণু রাজনীতি যুব সমাজকে ধারণ করতে পারছে না। তরুণদের কণ্ঠস্বর ধারণ করতে না পারায় আশাহীন, ভরসাহীন বা স্বপ্নহীন অবস্থায় চলে গেছি কি না সেটি এখন বড় প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, এসব থেকে উত্তরণে নতুন সমঝোতা, নতুন বোঝাপড়া বা জাতীয় পুনর্মিলনের জায়গায় সবাইকে নিয়ে আসতে হবে। নিজের স্বার্থকে একটু ছাড় দিতে হবে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, জরিপে উঠে এসেছে তরুণদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। চাকরির নিশ্চয়তা নেই। রাজনীতির বাইরে বিরাট জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে। তারাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। কিন্তু রাখতে পারছে না। বিগত দশ বছরে ক্ষমতসীন দলের ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক বার বন্ধ হয়েছে। সাফার করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও বলেন, চাকরি চাইতে গেলে তদবির, ঘুস লাগবে। তারপর জিজ্ঞেস করা হবে তার চৌদ্দপুরুষ আওয়ীমী লীগ করে কি না। এখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিএনপির লোকজনকে চাকরি দিতে ভয় পায়। কারণ দুদক বা এনবিআর পেছনে লাগবে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

তরুণদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়ে যেতে এখন আর ব্রেকে পা দেওয়া লাগে না। এক মাথা থেকে আরেক মাথা, টঙ্গীর ভেজালটা পার হলে, ঢাকা টাঙ্গাইলটা যে হাইওয়ে হয়েছে সেখান থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ব্রেকে পা দেওয়া ছাড়া যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি। দেশটা আমাদের। এখানে সব স্বাধীনতা আমাদের। সেই সঙ্গে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। অসিহষ্ণু সমাজ থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আমাদের কন্টিনিউ করে কাজ করতে চাই। একটা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চাই। আমরা চাই না আমাদের সব কিছুর ফয়সালা রাজপথে হোক। লড়াই, সংগ্রাম করে হোক। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই।

অনিয়ম, দুর্নাতি ও দলীয়করণের কারণে তরুণরা রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে বলে জানান জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দ্রুততার সঙ্গে আমাদের সমাজে যুব সমাজের সংখ্যা ও অনুপাত বেড়ে চলেছে। যুব সমাজের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমরা কতটা সফল? এই জিজ্ঞাসা বার বার আসছে। সামনে নির্বাচন আসছে। সেখানে আমরা যুব সমাজের অংশগ্রহণ দেখতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এসএম/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।