আমি নার্ভাস: সামন্ত লাল সেন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:১১ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৪
ডা. সামন্ত লাল সেন/ফাইল ছবি

‌‘আমি নার্ভাস। দুই/তিন ঘণ্টা আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ফোন পাওয়ার পর থেকে আমি নার্ভাস। জানি না মন্ত্রী হিসেবে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। পরে কথা হবে।’

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি পরিচিত। ৯০ এর দশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ শয্যার বার্ন ওয়ার্ডে পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য তার লড়াই শুরু হয়।

আরও পড়ুন>> নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং পরে চানখারপুলে ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

যেকোনো জাতীয় দুর্যোগ বিশেষ করে অগ্নিকাণ্ড কিংবা এসিড দগ্ধের ঘটনায় তিনি রাত-বিরাতে হাসপাতালে রোগীদের শয্যাপাশে ছুটে যাওয়ার জন্য সুপরিচিত। রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলী কিংবা চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সবসময় তাকে রোগীদের পাশে দেখা গেছে।

চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে প্রথমে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক এবং পরে সারাদেশে বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর সিলেটের হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত দপ্তর বণ্টন করা না হলেও ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা হলে তিনি জাহিদ মালেকের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণের পর দপ্তর বণ্টন করা হবে

এমইউ/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।