অহনার স্বপ্ন কি পূরণ হবে?

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

অহনা মুস্তাফিজ, বছর ১৪। পড়াশোনা করে ক্লাস সেভেনে খিলগাঁও বালিকা বিদ্যালয়ে। মেধাবী অহনার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু মরণব্যাধি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আর তার অসহায় বাবা-মা’র আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতাল। শেষ পর্যন্ত অহনার স্বপ্ন কি পূরণ হবে?

এদিকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করাতে গিয়ে অহনার পরিবার এখন নিঃস্ব। অহনার জন্য সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।

অহনার পরিবার জানায়, গত মাসের ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে হঠাৎ করেই অহনার শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে আরও কিছু পরীক্ষা অহনার শরীরে ক্যানসারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই অবস্থায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু এরপর থেকে অহনার শরীর আরও নিস্তেজ হতে শুরু করে। কথা বলার মতো শক্তি হারাচ্ছিল। ২০ দিন সেখানে ভর্তি থাকার পর বেশি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

চিকিৎসকরা তাকে অক্সিজেন দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় ৩ থেকে ৪ দিন রাখার পর চিকিৎসকরা জানান, তারা মেডিসিনের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছেন। তারা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে অহনাকে রাজধানীর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আইসিউইতে রাখা হয়। সেখানে একদিন রাখার পর দেখা যায় অহনা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কাউকে চিনতে পারছিল না। এ হাসপাতালে চিকিৎসা সক্ষমতা নেই জানানো হলে পরে অহনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এভারকেয়ারে ভর্তির পর শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে গেলে অহনাকে এখন আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার প্রচুর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে যা খুবই ব্যয়বহুল। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। অহনার ব্লাডপ্রেশার ও হার্টবিট ঠিক থাকায় চিকিৎসকরা তার সুস্থ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন অহনার বাবা গাজী সোহাগ।

অহনার চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দিতে গিয়ে তিনি এখন প্রায় নিঃস্ব। একজন অসহায় বাবা হিসেবে সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে সহমর্মিতার হাত বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

অহনার জন্য সহযোগিতার পাঠাতে পারেন-
Gazi Md. Mostafijur rahman,
acc no: 17810140451.
Dutch Bangla Bank, Rampura Branch, Dhaka.

এছাড়া সহযোগিতা পাঠাতে পারেন-
01937553131 (নগদ), 01985129113 (বিকাশ)।
অহনার বাবা: গাজী সোহাগ: 01318930111.

এসইউজে/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।