সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে এমপি আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ জানান, সর্বশেষ ২০২০ সালে জাতির জনকের পলাতক খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) মাজেদকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট পলাতক খুনিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে; যার মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নুর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়। পলাতক এ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চলমান কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বরাবর একাধিক চিঠিও দিয়েছেন। এমনকি সাক্ষাৎকালেও তিনি এ বিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেছেন।

‘পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়েও এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে। এছাড়া এ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পলাতক এ খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার ইস্যুটি বিশেষ গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, পলাতক এ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রচলিত আইনানুযায়ীও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো চলমান থাকায় এখনই বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

একই সঙ্গে যেসব পলাতক খুনিদের অবস্থান সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের অবস্থান নিশ্চিতের জন্যও আইনমন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

আইএইচআর/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।