১০ দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের ডেকে পাঠানোর বিষয়টি নিয়মিত কার্যক্রম। রুটিন ট্রান্সফার বলা চলে। অনেকের চাকরির বয়সও শেষ। আবার অনেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ।

জানা গেছে, রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে রয়েছেন পেশাদার কূটনীতিক মো. মনিরুল ইসলাম (ইতালি) এবং আসুদ আহমেদ (গ্রিস)। তাদের দুজনেরই পিআরএল শুরু হবে এপ্রিলে। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে খলিলুর রহমান (কানাডা) ও মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার (জার্মানি) মেয়াদ শেষ হবে এপ্রিলে। মোহাম্মাদ সুফিয়ুর রহমান (সুইজারল্যান্ড) ও মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামানের (কুয়েত) মেয়াদ শেষ হবে মে মাসে। সুলতানা লায়লা হোসেন (পোল্যান্ড) ও মোহাম্মাদ আব্দুল হাইয়ের (থাইল্যান্ড) মেয়াদ শেষ হবে জুনে। জুলাই মাসে শাহাবুদ্দিন আহমদ (জাপান) ও সেপ্টেম্বরে মো. ফজলুল বারীর (ইরাক) মেয়াদ শেষ হবে।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তারও চুক্তির মেয়াদ শেষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় রুটিন অনুসারে তারা ঢাকায় আসবেন। এসে তারা অবসরে চলে যাবেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অথবা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদূত হওয়ার যোগ্য। পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রদূত হয়ে থাকেন এবং সেটি চুক্তিভিত্তিক নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে থেকে যোগ্য যে কাউকে রাষ্ট্রপতি চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দিতে পারেন।

বর্তমানে ৬০টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে এবং সেখানে পররাষ্ট্র ক্যাডার বা বাইরে থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। মোট রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ পররাষ্ট্র ক্যাডার এবং সর্ব্বোচ্চ ৩০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান আছে। সাধারণভাবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় তিন বছরের জন্য।

আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।