১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যমূলক নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ ৬ দাবি
বৈষম্যমূলক নবম পে-স্কেল ঘোষণা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখাসহ ৬ দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সন্মেলন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এবং সভাপতিত্ব করেন লুৎফর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. মোফাজ্জল হোসেন ও আসাদুজ্জামান পান্না, যুগ্ম সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভাগীয় ও জেলার নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যে মেনে নেওয়া যায় না। ২০১৫ সালে প্রদত্ত ৮ম পে-স্কেল এরই মধ্যে প্রায় ৯ বছর পূর্ণ করেছে। সব সময়ই সরকার কোনো পে-স্কেল ৪ বছর পূর্ণ হলেই মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করে থাকে। এখন পর্যন্ত তাও দিচ্ছে না। ৮ম পে-স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা ছিল। তাও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন যে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে তাও মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশ বহাল আছে। বর্তমান মাসিক বেতন ভাতা দিয়ে কোনো কর্মচারী ১০ দিনের বেশি চলতে পারে না। তাই অতি দ্রুত পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানোর দাবি জানান। এসময় তিনি ৬ দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও ৬৪ জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
৬ দফা দাবি সমূহ:
১। পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
২। যে সব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে।
৩। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পূণর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিত করণসহ সব পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৪। বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সব ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে।
৫। সব সরকারি ও স্বায়ত্তসাশিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরন অনুযায়ী পদ নাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৬। সব স্বায়ত্তসাশিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুয়িটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশ এর স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
আরএএস/এসএনআর/এমএস