কল্যাণপুরে নেই যাত্রীর চাপ, কাউন্টার ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

গাইবান্ধার সাঘাটা যেতে চকবাজার থেকে কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে এসেছেন চাকরিজীবী রাকিবুল ইসলাম ও শিহাব ইসলাম। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘুরেছেন বিভিন্ন কাউন্টারে। তবে চাহিদা মতো টিকিট মেলেনি বলে দাবি রাকিবুল ইসলামের।

একই ঘটনা রংপুরগামী যাত্রী খলিল আহমেদের। তিনিও প্রায় ২ ঘণ্টা ঘুরে দুপুর ১২টার টিকিট পেয়েছেন। সাড়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিয়ে পেয়েছেন শ্যামলী পরিবহনের টিকিট। কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারে ছিল না যাত্রীর ভিড়। তবে কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাত পর্যন্ত কোনো টিকিট খালি নেই। কেউ বাতিল করলে মিলবে টিকিট।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে কল্যাণপুর টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। কেটিসি হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি। কাউন্টার ম্যানেজার সাদিক বলেন, সকালে ২টা বাস গেছে। বিকেলে আরও ২টা বাস যাবে। এখন কোনো বাস নাই তাই কাউন্টারে যাত্রী নাই। আজ ও কালকের কোনো টিকিট নাই। সব টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।

কল্যাণপুরে নেই যাত্রীর চাপ, কাউন্টার ফাঁকা

তিনি বলেন, রানিং যাত্রীর জন্য কোনো সিট নেই। এ ধরনের যাত্রী যদি বেশি হয় তাহলে পরিবহন বাস নামানো কথা চিন্তা করবে। হানিফ, লিটন, সেজুতি, টিকে ট্রাভলসসহ একাধিক পরিবহনে দেখা গেছে এমন অবস্থা।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সড়কে এবার জ্যাম বা ভোগান্তি নেই। বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে আসছে। শ্যামলী পরিবহনের সেলস এক্সিকিউটিভ জামাল হোসেন বলেন, চন্দ্রায় সামান্য জ্যাম আছে। এছাড়া নির্বিঘ্নে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। সকাল থেকে ১০ বাস গেছে। রাত পর্যন্ত আরও ৭টা যাবে, আমাদের আজকের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

যাত্রীরা বলছেন, তারা অনলাইনে বা ফোনে অগ্রিম টিকিট কেটে নিয়েছেন। অন্যদিকে অগ্রিম টিকিট কাটতে না পারা যাত্রীরা ছুটছেন শ্যামলী ও গাবতলী টার্মিনালে।

কাউন্টারে যাত্রী না থাকার কারণ হিসেবে জামাল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রীরা কাউন্টারে আসছেন। এসেই বাসে উঠে যাচ্ছেন। রানিং যাত্রী বেশি হলে নতুন বাস দেবে। আমাদের যেহেতু বাস বেশি আমরা দিতে পারবো।

এসএ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।