দুর্নীতির অভিযোগে ৩৮ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ১৯ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে গত ৪ বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি।

শেখ তাপসের দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ৪ বছর’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএসসিসি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ তাপস বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই করপোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে বিগত ৪ বছরে বিভিন্নস্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে করপোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত ৪ বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, মেয়র নির্বাচনের প্রাক্কালে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বিগত ৪ বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি বরং এ সময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যবদি অগ্রসরমান। তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করপোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩. ৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারবো বলে আশাবাদী।

মেয়র তাপস বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান থাকায় বর্তমানে কমলাপুর ও গ্রীন রোড় এলাকার মতো সুনির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে এবং নিউমার্কেট এলাকা (বিজিবি কর্তৃক পানি নিষ্কাশন নর্দমা বন্ধ করে দেওয়া হয়), পুরান ঢাকা এবং শহরের গুটিকয়েক এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও জলাবদ্ধতা হয় না। সেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইনশাআল্লাহ, অচিরেই সেসব স্থানেও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ ও গণপরিসর সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ বা উদ্যান প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিগত ৪ বছরে ১১টি খেলার মাঠ সংস্কার ও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৫টি ওয়ার্ডে নতুন খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠার কার্যক্র মচলমান রয়েছে।

এমএমএ/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।