ফেরার পথে থেমে আছে ঈদের আনন্দ
ঘরে ফেরার আনন্দ বুকভরা আশা নিয়ে শুরু হয়েছিল ঈদযাত্রা। কিন্তু সেই আনন্দ আটকে আছে যমুনা সেতুর মুখে, থেমে আছে মহাসড়কের তপ্ত পিচের ওপর। যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ আর ক্লান্ত শিশুর কান্না; সব মিলিয়ে যেন ঈদের খুশি নয়, ভোগান্তির ভার নিয়েই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ছবি: আব্দুল্লাহ আল নোমান
-
সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে দেখা গেছে তীব্র যানজট। আশেরপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন যাত্রী ও চালকেরা।
-
মহাসড়কে আটকে থাকা যাত্রী মোহাম্মদ শাকিল বললেন, ‘দেড় ঘণ্টা হয়ে গেছে, গাড়ি একচুলও নড়ছে না। টোল আদায়ে ধীরগতি এবং প্রশাসনের উদাসীনতা মিলিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
-
শুধু যাত্রীরা নন, চালকরাও ভীষণ চাপে রয়েছেন। নূর ইসলাম নামের এক বাসচালক বলেন, ‘রাত ১২টা থেকেই বিভিন্ন জায়গায় জ্যামে পড়েছি। খাবার খেতেও সময় পাইনি। এই চাপ নিয়ে গাড়ি চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।’
-
টাঙ্গাইলের পুলিশ প্রশাসন বলছে, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া গাড়ির চাপই এই যানজটের মূল কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু দুর্ঘটনাও।
-
যানজটের এই চিত্র নতুন নয়। কিন্তু ঈদের মতো স্পর্শকাতর সময়ে সাধারণ মানুষের ভ্রমণ যদি দুর্ভোগে রূপ নেয়, তবে প্রশ্ন উঠবেই—প্রস্তুতি ছিল কতোটা পর্যাপ্ত?