হাটে নেই গরু, নেই গলা ফাটানো হাঁকডাক
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা। রাজধানীজুড়ে এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। বাসা-বাড়িতে চলছে কোরবানির প্রস্তুতি। কিন্তু এই চূড়ান্ত মুহূর্তে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কোরবানির হাটে নেই সেই চিরচেনা গরুর গর্জন, বিক্রেতাদের ডাকাডাকি কিংবা ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিৎ
-
আজ দুপুরে ঘুরে দেখা যায় শনিআখরা, মাতুয়াইল ও রায়েরবাগ এলাকার কোরবানির হাটগুলো প্রায় ফাঁকা।
-
কোথাও দুই-একটি গরু দাঁড়িয়ে, কোথাও আবার পুরো মাঠজুড়ে খড়-ধুলা আর পলিথিনের ছাউনি।
-
বেশিরভাগ বিক্রেতার দাবি, ঈদের একদিন আগে সাধারণত বিক্রি শেষ হয়ে যায়। তাই অনেকে গরু নিয়ে চলে গেছেন অথবা বিক্রি শেষ করে হাট ছেড়েছেন।
-
আবার কেউ কেউ আশঙ্কার সুরে বলছেন, এবার গরুর সরবরাহ শুরু থেকেই কম ছিল। সীমান্ত দিয়ে গরু আসার সংখ্যা কম, দেশের অভ্যন্তরেও পরিবহন ব্যয় ও পশু সংকটের কারণে বাজারে সেই পুরনো চিত্র আর দেখা যায়নি।
-
গরু কিনতে এসে হতাশ হয়েছেন অনেকে। শনিআখরা হাটে দেখা মিললো এক পরিবারের, যারা সকাল থেকে হাট ঘুরে গরু পাচ্ছেন না।
-
মাতুয়াইল হাটে দাঁড়িয়ে থাকা একজন গরু বিক্রেতা জানালেন, গতকাল রাতেই সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম আজও ক্রেতা আসবে, কিন্তু গরু না থাকায় মানুষ ঘুরেও চলে যাচ্ছে।
-
হাটে পশু না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে ছোটখাটো গরু নিয়েই কোরবানি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অনলাইনে হাটের বিকল্প খুঁজছেন। অনেকে খোঁজ নিচ্ছেন মসজিদভিত্তিক কোরবানি প্ল্যানেরও।
-
শনিআখরা, মাতুয়াইল ও রায়েরবাগ হাটে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অংশই খালি পড়ে আছে।
-
রাজধানীর মানুষের কোরবানির জন্য হাটগুলো বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তেও সেই জমজমাট হাটের চিত্র চোখে পড়েনি। কেউ বলছেন আগাম বিক্রিতে গরু শেষ, কেউ বলছেন সরবরাহ কম। কিন্তু এই ফাঁকা হাট যে ঈদের আগের দিন ঢাকাবাসীর কোরবানির প্রস্তুতিতে এক ধরনের অস্বস্তি এনে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।