সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে যানজট, দুঃখ প্রকাশ জামায়াতের
রাজধানীজুড়ে সকাল থেকেই দেখা যায় চরম যানজট। একেক জায়গায় স্থবির হয়ে পড়েছে সড়ক চলাচল। বিশেষ করে মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট, বাংলামটর, সায়েন্সল্যাব, যাত্রাবাড়ী ও গাবতলী এলাকায় গাড়ির গতি একেবারেই ধীরগতির ছিল। এই পরিস্থিতির কারণ ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ছবি: মাহবুব আলম ও বিপ্লব দীক্ষিৎ
-
জামায়াতের ডাকে আয়োজিত এই রাজনৈতিক সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় সমবেত হন। সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে তারা ব্যবহার করেন বাস, ট্রেন, লঞ্চ এমনকি মেট্রোরেলও। এতে নগরজুড়ে বেড়ে যায় যাত্রীচাপ ও যানবাহনের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে শহরের সার্বিক যানবাহন চলাচলে।
-
বিশেষ করে দুপুরের দিকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অফিসগামী কর্মজীবী থেকে শুরু করে স্কুলফেরত শিক্ষার্থী সবার মধ্যেই ছিল চরম ভোগান্তি ও বিরক্তি।
-
এদিকে এই পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে জামায়াত। দলটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দেশজুড়ে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। ফলে ঢাকার কিছু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যা অনিচ্ছাকৃত। এতে নগরবাসীর যে ভোগান্তি হয়েছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
-
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় পরিসরে সমাবেশ করলে তা ঘিরে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আগে থেকেই বিবেচনায় রাখা উচিত।
-
এদিকে যানজটে আটকে পড়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশ হচ্ছে, হোক। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেলে সেটা কতটা যৌক্তিক?’
-
সবমিলিয়ে রাজধানীর আজকের দিনটি কাটে এক ধরনের অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে নাগরিক দুর্ভোগ নতুন কিছু নয়, কিন্তু সময় এসেছে এমন উদ্যোগ নেওয়ার যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার পালন যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি নাগরিক জীবনও স্বস্তিতে থাকে।