বার্ন ইনস্টিটিউটে কান্নার সুর, স্বজনদের ভিড়ে নুইয়ে পড়ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও
উত্তরার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের একের পর এক আনা হচ্ছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অ্যাম্বুলেন্স থামছে, দগ্ধদের নেওয়া হচ্ছে জরুরি বিভাগে, আর সেই সঙ্গে ছুটে আসছেন স্বজনরা। কারও মুখে কান্না, কারও চোখে আতঙ্ক, কারও বা শুধু হাহাকার-এইসব মিলিয়ে যেন হাসপাতালের চত্বরে তৈরি হয়েছে এক শোকের মিছিল। ছবি: বিপ্লব দীক্ষিত
-
দগ্ধদের স্বজনদের উপস্থিতি এতটাই বেড়ে গেছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
-
নিরাপত্তাকর্মীরা চেষ্টা করছেন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, কিন্তু স্বজন হারানোর আশঙ্কায় মাতাল একেকটি মুখ যেন সমস্ত ব্যারিকেড ভেদ করে এগিয়ে যেতে চাইছে প্রিয়জনের খোঁজে।
-
অ্যাম্বুলেন্স আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজছে বাঁশি, ছুটে আসছেন আনসার-পুলিশ সদস্যরা। একদিকে দগ্ধদের জরুরি চিকিৎসা, অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে চলছে নিরব লড়াই।
-
বার্ন ইনস্টিটিউটের ভেতরে এখন অতিরিক্ত রোগীর চাপে মূল ওয়ার্ড ছাড়াও কনফারেন্স রুম, স্টাফ ওয়ার্ডসহ কয়েকটি অতিরিক্ত জায়গা চিকিৎসার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দগ্ধদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
-
বারবার ঘোষণা দিয়ে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যাদের রোগী স্থিতিশীল, তারা যেন সরাসরি না এসে ফোনে যোগাযোগ করেন। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে না এবং হাসপাতালের পরিবেশ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
-
আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠা এই বার্ন ইনস্টিটিউট যেন আজ শুধুই আরেকটি হাসপাতাল নয়, একেকটি মানুষের কষ্ট, কান্না আর অপেক্ষার বোঝা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নীরব শোকস্থল।