হাঁস ভুনার ঘ্রাণে সন্ধ্যা শুরু হয় যেখানে
সন্ধ্যা নামলেই এক অন্যরকম বাতাস বইতে থাকে বালু নদীর তীরে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এক মোহময় সুবাস দেশি পাতিহাঁসের মাংস ভুনার ঘ্রাণ। এটা কোনও সাধারণ বাজার নয়, এটা পূর্বাচলের নীলা মার্কেট যা আজ রসনার এক বিস্ময়কর রাজ্যে রূপ নিয়েছে। ছবি: নাজমুল হুদা
-
ঢাকার খুব কাছেই, পূর্বাচল উপশহরের সেক্টর ১, ১১, ১২ এবং ময়েজউদ্দিন চত্বরজুড়ে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০০টিরও বেশি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ। বালু নদীর পাড় আর লেকের তীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই খাবারের হাটকে স্থানীয়রা আদর করে ডাকেন ‘রসনার হাট’ নামে।
-
সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি যেন এক উৎসব। চোখের সামনে গ্রিল হওয়া সামুদ্রিক মাছ, বড় কড়াইয়ে কষানো হাঁসের ঝাল মাংস, তার পাশে রুমালি রুটি আর দেশি চালের পিঠা সব মিলে এক স্বাদের উৎসব।
-
এই ফুড জোনে হাঁসের মাংস যেন এক ধরনের প্রতীক। প্রায় প্রতিটি দোকানেই রসনায় আছে ঝাল ঝাল পাতিহাঁস ভুনা, যেটি ৩০০ টাকা প্লেটে পরিবেশিত হয় সঙ্গে থাকে লেগ পিসসহ ৫ টুকরো মাংস আর আনলিমিটেড ঝোল, চাপটি, রুমালি বা আটার রুটি মাত্র ২০ টাকা, আর ডিমচাপটি ৪০ টাকায়।
-
এখানে বসে খাওয়ার পরিবেশটাও যেন আরাম ও আবেগে মোড়া। একদিকে লেকের বাতাস, অন্যদিকে নদীর ঢেউয়ের শব্দ, আর চোখের সামনে উন্মুক্ত আকাশের নিচে কাঠ-বাঁশের খোলা ঘরে রঙিন বাতির ঝলকানি।
-
জায়গাটা যেন শুধুই খাওয়ার নয়, একটা পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। পরিবার নিয়ে কেউ আসছেন, কেউবা প্রিয়জনের সঙ্গে।
-
একপাশে সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ চিংড়ি, কাঁকড়া, স্যামন, কোরাল, লবস্টার-সবই সরাসরি গ্রিল হয়ে হাজির হচ্ছে প্লেটে। আরেকপাশে বসে ‘বিথির মা’র পিঠা ঘর, যেখানে আতপ চালের চিতই আর চাপটি পিঠা গরম গরম ভাজা হচ্ছে।