ভাঙনের গহ্বরে পদ্মার পাড়, নিরাপত্তাহীনতায় স্থানীয়রা
দিন গড়াচ্ছে, আর পিছু হটছে পদ্মার পাড়। প্রতিদিনই যেন নদীর করাল গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিটেমাটি, স্মৃতি আর স্বপ্ন। ভাঙনের শব্দ এখন কেবল পানির নয়; এটা আতঙ্ক-আশঙ্কা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রতিধ্বনি। বারবার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা হলেও প্রকৃতির বিপরীতে দাঁড়াতে পারছে না তৎপরতাগুলো। ফলে নদীপাড়ের মানুষ আজ নিঃস্ব, আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীন এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। ছবি: রুবেলুর রহমান
-
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সৃষ্ট স্রোত ও ঢেউয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুরের মধ্য ও পূর্বপাড়ার প্রায় ৫০০ মিটারসহ গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার অন্তত ২০ থেকে ৩০ বিঘা ফসলি জমি।
-
বর্তমানে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে এসব এলাকার স্কুল, মসজিদ, বাজার, বসতবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক, কবরস্থানসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি। ফলে ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দাসহ জমির মালিকরা।
-
এদিকে ভাঙন রোধে মিজানপুর মহাদেবপুরের পূর্ব ও মধ্যপাড়ায় জরুরি আপদকালীন বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত গোয়ালন্দের দেবগ্রামের মুন্সিবাজার ভাঙন কবলিত এলাকায় নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
-
প্রতিবছর পদ্মার ভাঙনে এই ইউনিয়নের শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়। বর্তমানে ইউনিয়নটির মহাদেবপুর ও রামচন্দ্রপুরের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার ফসলি জমি, স্কুল, গ্রামীণ সড়ক, মসজিদ ও বসতবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় কয়েক বছর আগে ডাম্পিং করা বালুভর্তি জিও ব্যাগ বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র স্রোতে ধসে গেছে। ফলে এবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।
-
কয়েক বছর আগে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দুইটি ভবনের একটি ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়টির মূল ভবনসহ শহীদ মিনার, বসতবাড়ি, মসজিদ, কবরস্থান ও গ্রামীণ সড়ক।