বিদ্যুৎহীন ৮ ঘণ্টা, বেগুনবাড়িতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ
আজ সকালে যখন ঢাকার আকাশে সূর্য উঁকি দিচ্ছিল, তখন হাতিরঝিল পাড়ের মানুষজনের ঘরে নেমে এসেছিল অন্ধকারের ছায়া। সকাল ৯টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বেগুনবাড়ি এলাকায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিদ্যুৎ ফেরার কথা বিকাল ৫টায়। দীর্ঘ আট ঘণ্টার এই বিভ্রাটে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। ছবি: মাহবুব আলম
-
বেগুনবাড়ির বাসিন্দা রুবিনা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘ছোট বাচ্চাটা সকালে ঘুম ভাঙতেই ফ্যান না পেয়ে কান্না শুরু করে। তীব্র গরমে বাড়িতে বসে থাকাই দায় হয়ে গেছে। ফ্রিজ বন্ধ, ঠান্ডা পানি নেই, কিছু রান্নাও করতে পারছি না।’
-
এই এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন সময় মানেই যেন জীবনযাত্রায় স্থবিরতা। মোবাইল ফোন চার্জ না থাকায় অফিস বা প্রয়োজনীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেকের। অনলাইনে ক্লাস করা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির যেন সীমা থাকে না।
-
রাস্তায় নামলে চোখে পড়ে, অনেকেই হাতপাখা নিয়ে ঘেমে-নেয়ে চলাফেরা করছেন। কেউ কেউ আশপাশের অন্য এলাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় গিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন, যাদের ঘরে এখনো বিদ্যুৎ আছে। বাসায় বসে থাকা গৃহিণীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন ছোট দোকানের ব্যবসায়ীরাও।
-
হাতিরঝিলে সকালবেলার দৃশ্য ছিল ভিন্নতর ঠাণ্ডা বাতাস আর ছায়াঘেরা পরিবেশে একটু প্রশান্তি খুঁজে নিচ্ছেন অনেকে।
-
ঢাকার মতো এক মেগাসিটিতে দিনে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকা এখন আর স্বাভাবিক বিষয় নয়। যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ছিল পূর্বনির্ধারিত মেরামত কাজ, তবে সেই বার্তা আগেভাগে অনেকেই পাননি। ফলে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
-
যান্ত্রিক জীবনের এই শহরে বিদ্যুৎহীন এক সকাল যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল-একটা সুইচ অফ মানেই কেবল আলো নিভে যাওয়া নয়, বরং যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ থেমে যাওয়া।