সমাবেশের নামে শহরজুড়ে ‘ধৈর্যের পরীক্ষা’
শুধু রাস্তায় নয়, যেন ধৈর্যের ওপরও চলছে এক নিষ্ঠুর পরীক্ষা। কর্মদিবসের সকাল, শহর জেগেছে দৈনন্দিন ছন্দে। কিন্তু রাজধানীর রাস্তায় নেমে সেই চেনা ছন্দ যেন গুম হয়ে যায় কনক্রিটের জঞ্জালে। কোথাও থেমে থাকা বাস, কোথাও ক্লান্ত মুখে পায়ে হেঁটে চলা মানুষ-সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে যেন অদৃশ্য এক অচলতা ঘিরে ধরে ঢাকাকে। অফিসগামী, শিক্ষার্থী, রোগী কেউই রেহাই পাননি এই যান্ত্রিক দুঃস্বপ্ন থেকে। রাজধানীজুড়ে যানজটের ভয়াবহতায় প্রশ্ন জাগে, শহর কি শুধু সিদ্ধান্তহীনতার বলি, নাকি পরিকল্পনার অভাবই এই দুর্ভোগের দায়ী? ছবি: অভিজিৎ রায়
-
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে শাহবাগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ এবং এনসিপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে জনসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। ফলে সমাবেশ ঘিরে সড়কে চাপ বেড়েছে মানুষের চলাচলে।
-
একই সঙ্গে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়া নগরবাসীর ছুটে চলার চাপ ও একযোগে এইচএসসি ও বিসিএস পরীক্ষার চাপের প্রভাব পড়েছে সড়কে। ফলে দীর্ঘ যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মমুখী নগরবাসী।
-
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে।
-
সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। গণপরিবহনগুলোতে যাত্রীর চাপ চোখে পড়ার মতো।
-
রাজধানীর বাসস্টপেজগুলোতে অপেক্ষমাণ অফিসগামী ও কর্মমুখী যাত্রীদের গণপরিবহনের গেটে ঠেলাঠেলি করে উঠতে দেখা গেছে।
-
রাজধানীর শ্যামলী বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ছিলেন কারওয়ান বাজারগামী বেসরকারি চাকরিজীবী শামীম হোসেন। তিনি বলেন, গাড়িতে পা রাখার জায়গা নেই। আবার যে যানজট গাড়িতে উঠলেও কখন পৌঁছাবো বলা কঠিন।
-
সিএনজিচালক আলমগীর বলেন, ট্যেকনিক্যাল সিগন্যাল থেকে শ্যামলী পর্যন্ত আসতেই ৩৫ মিনিট লাগছে। যানজট না থাকলে আসতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগতো। রাস্তায় মোটামুটি জ্যাম আছে ভালোই।
-
এদিকে, একদিনে দুটি দলের সমাবেশ ঘিরে কয়েকটি সড়ক ডাইভারশন করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ২ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।