প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে সেই ৫ আগস্ট
রামপুরা সড়কে প্রথমে থমথমে নিস্তব্ধতা-এই চিৎকার মুখর উত্তাপের পূর্বাভাস জানাচ্ছিল। পৌরবাজার থেকে শুরু করে ইস্ট–ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গলিপথ জুড়ে হাজারো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শহরের কেন্দ্রে সড়ক অবরোধ করছিল। পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে; সেনাবাহিনী সময়মতো ব্যারিকেড তৈরি করে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: মাহবুব আলম
-
সেনাবাহিনীর হ্যান্ডমাইকিংয়ের মাধ্যমে ঘোষিত হয় ‘সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দেবেন কিছুক্ষণ পর’ এই ঘোষণার খবর আলোড়ন ছড়ায়।
-
এরমধ্যে ছড়িয়ে পরে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর। তখনই উল্লাসে মেতে উঠে সর্বস্তরের জনতা।
-
উল্লাসে আত্মহার করে জনসাধারনের কেউ সিজদা দিতে শুরু করেন।
-
কেউবা সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ধরে কৃতজ্ঞতা জানায়।
-
সেনাবাহিনী শান্ত, ছেলেরা সড়কে দৌড়াচ্ছে, রাস্তায় নামা আপামর মানুষ; কেউ গনভবনের দিকে, কেউ শাহবাগের দিকে ছুটছে... উচ্ছ্বাসেই যেন পুরো দেশ একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।
-
এই দমবন্ধানো পরিস্থিতি ছিল ‘জুলাই বিপ্লবের’ কলাকুশল।
-
শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবরে যেন কিছু সময়ের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেট বন্ধ, সরব হামলার সেই সব কষ্ট।