জানাজায় জনস্রোত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো দেশ। সময়ের সাহসি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে হাজির লাখো বিক্ষুব্ধ জনতা। বীর সৈনিক মৃত্যুর পর অসীম শক্তি নিয়ে তিনি যেন ফিরে এসেছেন লাখো তরুণদের মাঝে। হাদির ভূমিকা অসংখ্য তরুণের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তার এই অকালপ্রয়াণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয় সেই জানান দিচ্ছেন জানাজায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। ছবি: জাগো নিউজ
-
দুপুর ২ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। অথচ সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হতে দেখা গেছে অনেককে। হাজারোও মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে।
-
নানা প্রান্ত থেকে পায়ে হেটে জনস্রোত মিলছে মানিক মিয়া সড়কে। বেলা দেড়টা বাজার আগেই জনসমুদ্রে প্লাবিত সড়ক।
-
সবাই হত্যাকারীর বিচারের দাবি করছে পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা চান তারা। জানাজায় অংশ নিয়েছে লাখো বিক্ষুব্ধ প্রাণ।
-
শরীরে লাল পতাকা জড়িয়ে হাদির জানাজায় অংশ নিয়েছেন সাভার কলেজের শিক্ষার্থী আরিফিন শাওন। হাদিকে চোখের সামনে কোনদিন দেখেননি। কিন্তু তার চোখ থেকে অঝোরে ঝরছে পানি। শাওনকে দেখে মনে হয় তার কাছের কোনো আপন জনের বিদায়ের দিন। সত্যিই হাদি আজকে পুরো দেশবাসীর আপনজন হয়ে উঠেছেন।
-
অনেকের দাবি জানাজায় এতো মানুষ কখনো দেখেননি। মিরপুরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তারিফ বলেন, হাদিকে কখনো দেখেননি। মনে হয় হাদি আমার ভাই। আমার জীবনে এতো মানুষ দেখেনি বিশেষ করে জানাজায়।
-
বিশেষ করে মিরপুর, গাবতলি, মোহাম্মদ, বছিলা, উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে এসে জানাজায় অংশ নিচ্ছে। অনেকে ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছেন। লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো।