অনন্ত স্মৃতিতে শহীদ ওসমান হাদি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ইতিহাস, শিক্ষা আর আন্দোলনের স্মৃতি মিশেছে প্রতিটি পাথরে। সেই শিক্ষা-আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে এখনও গাঁথা আছে এক নাম, যার স্মৃতি জীবন্ত। বলছি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি কথা। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এরপর ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার রাস্তাগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মিলিয়ে লাখো মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়। শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী সবার চোখে ছিল অশ্রু, মুখে কেবল এক ধ্রুব শ্রদ্ধার অভিব্যক্তি। জানাজার শেষে তাকে দাফন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে। ছবি: মাহবুব আলম
-
মৃত্যুর ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিফ ওসমান হাদির কবরের পাশে মানুষের আনাগোনা কমেনি।
-
কেউ কবর জিয়ারত করছেন, কেউ দোয়া পরছেন, আবার কেউ কৌতূহলী দৃষ্টিতে কবরের সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অংশ যেন হয়ে উঠেছে এক নীরব, কিন্তু শক্তিশালী আন্দোলনের স্মৃতিস্মারক।
-
শরিফ ওসমান হাদি শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নয়; তিনি ছিলেন শিক্ষার্থী আন্দোলনের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তার জীবন, সংগ্রাম এবং নেতৃত্বের গল্প নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গলিপথ, ছায়াযুক্ত মাঠে তার স্মৃতি এখনও শ্বাস ফেলে শিক্ষা, আন্দোলন এবং ন্যায়ের পথে সততা ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে।
-
ওসমান হাদির কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে যে শান্তি অনুভূত হয়, তা শুধু তার বিদায়ের শোক নয়, বরং শিক্ষার্থী ও নতুন প্রজন্মকে আন্দোলনের নৈতিক শিক্ষা দেয়। একজন নেতা, যিনি হাল ছাড়েননি, যিনি ন্যায়ের পথে সর্বদা অটল ছিলেন তার স্মৃতিকে জীবন্ত রেখেছেন সবাই।
-
শরিফ ওসমান হাদির জীবনের গল্প, অবদান এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে তরুণদের মননে অনুপ্রেরণার দীপ্তি জ্বালিয়ে রাখে। সে নিঃসন্দেহে সবার হৃদয়ে বেঁচে আছে এক নীরব, কিন্তু শক্তিশালী শোকের মধ্য দিয়ে।