বিশেষ দিনে জানুন ফারিয়ার জানা-অজানা গল্প
আজ ৯ নভেম্বর। এ দিনেই জন্মেছিলেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার এক উজ্জ্বল মুখ ফারিয়া শাহরিন। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যিনি আলোচনায় আসেন, সেই তরুণী এখন এক পরিণত অভিনেত্রী, মডেল ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার জীবন যেন এক খোলা ডায়েরি, যেখানে আছে আলো-ছায়ার মিশেল, লড়াই আর ফিরে আসার গল্প। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ফারিয়া শাহরিন প্রথম নজর কাড়েন দর্শকের। তখনও তিনি তরুণ, প্রাণবন্ত এবং স্বপ্নভরা চোখে নতুন জীবনের শুরু করছেন। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই তার হাতে আসে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ। শোবিজের ঝলমলে দুনিয়ায় পা রেখে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন একে একে নানা নাটক ও বিজ্ঞাপনে।
-
‘তুমি আমি সে, বিকেলে চা, তুমি আসবে বলে, হঠাৎ বৃষ্টি’-এমন অনেক নাটকে তিনি হয়ে ওঠেন দর্শকের প্রিয় মুখ। তার হাসি, অভিব্যক্তি আর প্রাণবন্ত অভিনয় এক সময় দর্শকের মনে বিশেষ জায়গা দখল করে নেয়।
-
জীবনের এক পর্যায়ে তিনি দেশের বাইরে চলে যান পড়াশোনার কারণে। মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে কিছুটা সময় দূরে ছিলেন অভিনয় থেকে। কিন্তু শোবিজের প্রতি ভালোবাসা তাকে আবারও টেনে নিয়ে আসে আলোয়। দেশে ফিরে তিনি আবারও পর্দায় হাজির হন নতুন এনার্জি ও পরিণত অভিনয়ের মাধ্যমে।
-
অনেকে হয়তো বিরতি নিয়ে ফিরে আসতে ভয় পান, কিন্তু ফারিয়া শাহরিন দেখিয়ে দিয়েছেন, থেমে যাওয়া মানে হার মানা নয়; বরং নতুনভাবে শুরু করার প্রস্তুতি। তার এই ফিরে আসা অনেক তরুণ অভিনেত্রীর জন্য প্রেরণা হয়ে উঠেছে।
-
ফারিয়া শুধু একজন অভিনেত্রী নন; তিনি এক আত্মবিশ্বাসী নারী, যিনি নিজের ভুল, ভয়, স্বপ্ন সবকিছু খোলাখুলিভাবে মেনে নিতে জানেন। নিজের জীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তিনি খোলামেলা কথা বলেন-মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্কের জটিলতা কিংবা নারী হিসেবে নিজের জায়গা করে নেওয়ার সংগ্রাম নিয়ে।
-
তার জীবনবোধে এক ধরনের বাস্তবতা আছে। তিনি জানেন, গ্ল্যামার একদিন মিলিয়ে যায়, কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব আর সততা চিরস্থায়ী। তাই পর্দার বাইরেও তিনি নিজের ভাবনা, সাহস আর সত্তার প্রকাশ ঘটান-যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।