ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
বরিশালে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে এ সবজি চাষে। ছবি: শাওন খান
-
জেলার বিভিন্ন স্থানের বিস্তৃত চরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এ সবজি। আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছেন কৃষক।
-
কৃষকরা বলছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষি অর্থনীতির সোনালি ইতিহাস হতে পারে দক্ষিণাঞ্চল।
-
বরিশাল সদর উপজেলার লড়াইপুর চর ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি, তরমুজ, ফুট বা বাঙ্গির পাশাপাশি কয়েক একর জমিজুড়ে ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে। আবাদের সময় অনুসারে দুইবার ফলন সংগ্রহও করা হয়েছে প্রতিটি গাছ থেকে। আরও কয়েক থোকা ক্যাপসিকাম বড় হচ্ছে গাছে।
-
শুধু লড়াইপুর চরেই নয়; মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীর চরেও চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম। বরগুনার আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটার চরে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী ও ভোলায় আগে থেকেই চাষ হচ্ছে।
-
চাষি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘লড়াইপুরে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছি। যা থেকে এখন পর্যন্ত দুইবার ফলন তুলেছি। আরও ২-৩ বার ফলন উত্তোলন করা যাবে।’
-
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বরিশাল বিভাগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭৬ হেক্টর জমিতে মোট ১ হাজার ৩৫৩ মেট্রিক টন ক্যাপসিকাম উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে ২ হেক্টর এবং ভোলায় ৭৪ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়। গড়ে প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে।
-
এ ছাড়া বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা জেলায় উৎপাদন হলেও এখন পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জরিপে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।