পাবনার টমেটো গ্রাম
টমেটো চাষে বদলে গেছে পাবনার প্রত্যন্ত গ্রাম খলিলপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের অর্থনীতির চিত্র। ছবি: আলমগীর হোসাইন
-
শীতকালীন এ সবজি উৎপাদনে কৃষকদের ধারাবাহিক সাফল্যে গ্রামটি খ্যাতি পেয়েছে ‘টমেটো গ্রাম’ নামে। এখানে উৎপাদিত টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গ্রাম থেকেই সরবরাহ হচ্ছে সারাদেশে।
-
জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চর খলিলপুরে ২ যুগ আগে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম টমেটো চাষ করেন আনসার আলী। শুরুতেই তার কাছে ধরা দেয় ব্যাপক সফলতা।
-
আনসার আলীর সফলতা দেখে টমেটো চাষে ঝুঁকেছেন আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকরাও।
-
এলাকার প্রায় সব জমি এখন টমেটো বাগানে রূপ নিয়েছে।
-
চাষিরা জানান, ১ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ খরচ হয় ২৫-২৭ হাজার টাকা। এবার বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২০০-৩০০ মণ।
-
বর্তমান বাজারে প্রতি মণ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা দরে।
-
উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমির টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
-
প্রতি বছর বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখছেন তারা। এ কারণে অন্য ফসল ছেড়ে টমেটো চাষের দিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
-
তবে গ্রামগুলোয় টমেটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে বিপুল পরিমাণ টমেটো নষ্ট হয়।
-
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘চরাঞ্চলের জমিতে টমেটো চাষ করে ওই অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। তারা যেন আরও বেশি টমেটো আবাদ করতে পারেন সেজন্য প্রশিক্ষণসহ উন্নত মানের বীজ, সার-কীটনাশক, কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’