টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১০টি ইনিংসের স্কোর

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের পাঁচ ব্যাটসম্যান শূন্য করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মাত্র ৫৮ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। নিঃসন্দেহেই লজ্জাজনক পরিস্থিতি। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন উদাহরণ রয়েছে একাধিক।

১৮৮৯ সালের ২৫ মার্চ কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস।

২০ জুন, ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৪২ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। এক ইনিংস ও ২৮৫ রানে ম্যাচটি জিতে নেয় ইংল্যান্ড।

১৮৮৮ সালের১০ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪২ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি ১২৬ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড।

১৯৪৬ সালের ২৯ মার্চে ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মাত্র ৪২ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি এক ইনিংস ও ১০৩ রানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

২৯ মে, ১৯০২ সালে বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৩৭৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলো অনে ব্যাট করতে নেমেও ২ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।

১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ সালে মেলবর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ওই ম্যাচটি এক ইনিংস ও ৭২ রানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

১ এপ্রিল, ১৮৯৯ সালে কেপটাউনে ইংল্যান্ডের ২৪৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ম্যাচটি ২১০ রানে হেরেও যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৪ জুন, ১৯২৪ সালে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের ৪৩৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

২৫ মার্চ, ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে মাত্র ২৬ রানেই শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই কোনো ইনিংসের সর্বনিম্ন স্কোর। ম্যাচটি ইংল্যান্ড এক ইনিংস ও ২০ রানে জিতে নেয়।