তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জামায়াতের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। দেশে ফেরার পর ঢাকায় তাকে সংবর্ধনা দেবে বিএনপি। এই সংবর্ধনা ঘিরে পোস্টার, ব্যানারে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এবং সজাগ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

আচরণবিধি ও ডিজিটাল প্রচার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, তফসিল ঘোষণার পর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্দেশনায় আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সারা দেশে পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলেছি। তবে বিভিন্ন স্থানে অন্যপক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। ম্যানুয়াল ব্যানারের পাশাপাশি বর্তমানে ভার্চুয়াল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। আমরা ইসিকে বলেছি এগুলো যেন অবিলম্বে অপসারণ করা হয় এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়।

ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে সন্ত্রাসী ও অসাধু চক্র নির্বাচন ভণ্ডুল করার সুযোগ পাবে না। ভোটাররা যাতে ভয়হীন পরিবেশে ভোট দিতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আরও পড়ুন
‘লিডার আসছে’ ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে ঢাকা 
ডিএমপির একগুচ্ছ ট্রাফিক নির্দেশনা, ব্যাগ-লাঠি বহন নিষিদ্ধ 

সম্প্রতি খুলনায় এক জুলাই যোদ্ধার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জুবায়ের বলেন, এসব ঘটনায় জনমনে মানসিক ট্রমা ও ভীতি তৈরি হয়েছে। আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দেশব্যাপী নির্বাচনি সফরের সময় ভিভিআইপি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবিও জানানো হয়। একই সঙ্গে একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোটি কোটি কার্ড বিতরণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থ প্রদানের ওয়াদা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াত একে নির্বাচনি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছে। ইসিকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রায় সোয়া কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটার করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত। প্রতিনিধিদল এই প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে করার পরামর্শ দিয়েছে।

আগামী ৩ জানুয়ারি জামায়াতের নির্ধারিত জনসভা সম্পর্কে প্রতিনিধি দল জানায়, তারা আচরণবিধি মেনেই এই কর্মসূচি পালন করবেন। জনমনে সচেতনতা বাড়াতে এ জনসভা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এমওএস/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।