ভারতীয় নাগরিকের চোখে ঢাকার বইমেলাই সেরা
দেব প্রসাদ চন্দ্র। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। জন্ম কলকাতায় হলেও থাকেন নিউ বম্বেতে। কর্মসূত্রে এসেছেন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট’ প্রোগ্রামে। সুযোগ পেয়ে চলে এলেন বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলায়। নাগরিক হিসেবে ভিনদেশি হলেও বাংলাদেশকে মনে প্রাণে ভালোবাসেন তিনি। কারণ তার মায়ের ভাষা বাংলা। তাই বাংলাদেশকে নিয়ে তার মমত্ববোধ একটু বেশিই।
মঙ্গলবার বইমেলার নবম দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের উল্টো দিকে কথা হয় তার সঙ্গে। অমর একুশে বইমেলা নিয়ে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, কলকাতার চেয়ে ঢাকার বইমেলার পরিবেশটা অনেক এগিয়ে। কলকাতা বইমেলার সঙ্গে ঢাকার তুলনা করতে বললে, ঢাকার বইমেলাকেই এগিয়ে রাখেন তিনি।
দেব প্রসাদ বলেন, কলকাতার বইমেলার সঙ্গে ঢাকার বইমেলার খুব একটা পার্থক্য পাচ্ছি না। আমার কাছে মনে হচ্ছে ওপার বাংলা এপার বাংলার ব্যপারগুলো একই রকম। তবে এখানকার পরিবেশটা আমার মনে হচ্ছে কলকাতা বইমেলার চেয়ে একটু উন্নত মনে হচ্ছে। এখানকার মেলায় একটু ঘাস আছে। যা কলকাতার মেলায় নেই। আমাদের মেলায় খরা প্রবণ হওয়ার কারণে ঘাস কম।
ঢাকার বইমেলাকে আরও উন্নত করার জন্য পরামর্শের কথা বললে তিনি বলেন, সাজেস্ট করার মতো তেমন কিছু দেখি না। তবে এখানকার বইমেলার পরিবেশটা ভালো। যদিও কলকাতা বইমেলার ফুর্ট উইলিয়াম এবং ময়দান এলাকাটা কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র তবে আমার মনে হচ্ছে এখানকার মেলার সিনারিটাও বাংলাদেশের প্রাণ কেন্দ্র।
তিনি বলেন, চাকরি জীবনের প্রথম থেকে ঢাকায় বইমেলা হয়ে থাকে বলে জানি। তবে এর আগে কখনো আসা হয়নি। তবে কাজের কারণেই বইমেলায় আসার সুযোগটা হয়েছে।
তরুণ প্রজন্ম ই-বুকের প্রতি ঝুঁকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সময় আমরা টেক্সট বুকের প্রতি বেশি নির্ভরশীল ছিলাম। তবে এখনকার সময় প্রযুক্তির কারণে তরুণ প্রজন্ম ই-বুকের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। টেলিভিশন বা সোস্যাল মিডিয়া টানছে তাদের। তাই বইয়ের প্রতি তারা তেমন সময় দিতে পারছে না। সে কারণে বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে বই বিক্রির ইফেক্ট কেমন পড়ছে সেটা জানি না। তবে মনে হয় বেঁচা-কেন দিন দিন বাড়ছে।
এমএম/এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি