সময় বাড়লো কাগজে ছাপানো কজলিস্টের
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে শুধু অনলাইনে মামলার কার্যতালিকা থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও আইনজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আরো দেড় মাস পর্যন্ত কাগজের কজলিস্ট ছাপানো হবে।
সোমবার রেজিস্ট্রার মো. দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে কজলিস্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কাগজে ছাপানো কজলিস্টও ছাপা হবে। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ দিন কাগজে ছাপানোর (কজলিস্ট) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। আজ ওই বর্ধিত তারিখ শেষ হয়েছে।
কাগজে ছাপানো কজলিস্ট বাতিল করার বিষয়ে কথা বলার জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সরকার সমর্থক ও বিরোধী উভয় দলের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে যান। এর আগে সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ছাড়াও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সমিতির সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন, শম রেজাউল করিম ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী একটি সভায় মিলিত হন।
সভা শেষ করে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও এসএম মুনীরসহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হাইকোর্টে ১ ফেব্রুয়ারি হতে কাগজে ছাপা কজলিস্ট (কার্যতালিকা) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে এর পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালু করা হবে।
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেয়ার পর বিভিন্ন বিভাগেও ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু হয়। সুপ্রিমকোর্টেও একই উদ্যোগ নেয়ার কথা বলে আসছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা।
এদিকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি জরুরি সভায় ডাকেন। তারা জরুরি সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকেলে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সরকার সমর্থক ও বিরোধী উভয় দলের নেতারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে যান।
সুপ্রিমকোর্ট সূত্রে জানা যায়, বহুকাল ধরে কাগজের ছাপানো কার্যতালিকা ধরে কাজ করতে অভ্যস্ত আইনজীবীরা তাই নতুন পদ্ধতিতে কাজের ধরন নিয়ে শঙ্কিত।
আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, “এ বিষয়ে আইনজীবীদের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আগামী সোমবার থেকে এ জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”
আইনজীবীদের আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে উনারা যতটা শঙ্কিত হচ্ছেন, আমার মনে হয় শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”ওয়েবসাইট থেকে যে কোনো সময় আইনজীবীরা কাগজে কার্যতালিকা প্রিন্ট করার সুযোগ থাকবে। আইনজীবীদের জন্য ‘সাপোর্ট সেন্টার’ থাকবে বলেও জানান আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন,“প্রয়োজনে একেবারে খুব জরুরি হলে এক্ষেত্রে হয়ত আমাদের কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে কিছু কপি দেব।”
এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি