শেখ হাসিনাকে নিয়ে পাকিস্তানি পত্রিকায় আপত্তিকর প্রতিবেদন


প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকায় বৃহস্পতিবার একটি আপত্তিকর  প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের তরফ থেকে উসকানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড ছাড়াই বাংলাদেশের নেতারা অতীতের মীমাংসিত নানা বিষয় সামনে তুলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার পথ বেছে নিয়েছেন।

প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস বিভিন্ন দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পত্রিকাটি ছাপিয়ে থাকে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পাকিস্তানে এই পত্রিকাটির সহযোগী হিসেবে রয়েছে।

‘ইজ হাসিনাস বাংলাদেশ অ্যাট ওয়ার উইথ ইটসেল্ফ অর পাকিস্তানি-লাভার্স?’ শীর্ষক মন্তব্য প্রতিবেদনটির শুরুতে  সম্প্রতি পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক নারী কূটনীতিককে বহিষ্কারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাটিকে ‘ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়’ বলেও আখ্যা দেয়া হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলেই ঢাকা সংবাদের শিরোনাম হতে শুরু করে। এরপর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন পাকিস্তানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক নাভিদ আহমেদ। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ এ পর্যন্ত মোট চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হলেও প্রতিবেদনে নাভিদ লিখেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানকে সমর্থনের জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, গত তিন বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে তথাকথিত দাবি করে এতে আরো বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের ঢাকা সফরের প্রসঙ্গে টেনে এতে বলা হয়েছে, ওই সফরে পারভেজ মোশাররফ একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বিরোধীপক্ষ ঘোষণা দেয়- পারভেজ মোশাররফ যা বলেছেন তা যথেষ্ট নয়।

১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকা, ইসলামাবাদ এবং নয়া দিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি শেখ হাসিনা ভঙ্গ করছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়া, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার বেঁচে যাওয়া, ভারতে তাদের নির্বাসিত জীবন ইত্যাদি বিষয়ও উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

এনএফ/এসএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।