ঢাকা বারের ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে
এশিয়ার বৃহত্তম বার ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) ২০১৬-১৭ বর্ষের দুই দিন ব্যাপী ভোট গ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে।
পর-পর দুই দিনে আইনজীবীদের ভোট পড়েছে মোট ৮ হাজার ১শ’ ৩৪টি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। এখন ভোট গণনা চলছে বলেও জানান তিনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে মাঝে ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ঢাকা বারের ওয়েবসাইটে দেখা যায় ২০ হাজার ৩৯ জন আইনজীবী রয়েছেন এ বারে। তবে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন।
ঢাকা বারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মো. শাহ্ আলম খান।
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারেও সকাল থেকে আইনজীবী ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কোন বিশৃঙ্খলা বা হট্টগোল দেখা যায়নি। নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা বার এলাকায় এখন উৎসবমুখর অবস্থা বিরাজ করছে।
এ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২০১৬-২০১৭ বর্ষের কার্যকরী পরিষদের জন্য ২৭টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদ ও ১৫ টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে। ৬৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় দুটি প্যানেলের মধ্যে। একটি প্যানেল আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল অপরটি বিএনপি ও তাদের সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নীল প্যানেল।
সাদা প্যানেলের হয়ে সভাপতি পদে এডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান নির্বাচন করছেন। নীল প্যানেলের হয়ে সভাপতি পদে অ্যঅডভোকেট মো. খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাদা প্যানেলের অপর প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে আবু বকর ফরহাদ, ট্রেজারার পদে মো. হাসিবুর রহমান দিদার, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আলী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লাকী আক্তার ফ্লোরা, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রহলাদ চন্দ্র সাহা পলাশ এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. বাহারুল আলম বাহার।
নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম শেলী, সহ-সভাপতি পদে কাজী মো. আব্দুল বারিক, ট্রেজারার পদে আবু বক্কর সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সারোয়ার কায়ছার রাহাত, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দফতর সম্পাদক পদে মো. আফানুর রহমান রুবেল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মো. শফিকুল ইসলাম এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ শাখাওয়াত উল্লাহ চৌধুরী।
সাদা প্যানেলের হয়ে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট আমিনুল আহসান মাসুম, ইমারত হোসেন বাচ্চু, হাজেরা বেগম আজরা, মোহাম্মাদ আবু সাঈদ সিদ্দিক টিপু, নাসিম জাহান রুবি, নুরজাহান আক্তার পারভীন, মরিয়ম বেগম তুলি, মো. আলাউদ্দিন খান, সাহিদা পারভীন নদী, মো. বিল্লাল হোসেন লিজন, মোহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম তালুকদার, তাইবুর রহমান তুহিন, মোহাম্মাদ সাইফুজ্জামান টিপু ও মোহাম্মাদ নূর হোসেইন।
সদস্য পদে নীল প্যানেলে লড়ছেন- অ্যাডভোকেট আজমেরী আহমেদ চৈতি, মো. আব্দুল মোমেন খান মামুন, মো. আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন, মো. শহিদুলাহ, মো. শাহীন হোসেন, মো. শওকত উলাহ, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান সুজা, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোস্তরী আক্তার নুপুর, মোসা. জেবুননেছা খানম জীবন, পান্না চৌধুরী, শাহনাজ পারভীন, সৈয়দ আকতারুল ইসলাম আক্তার এবং সৈয়দ মোহাম্মাদ মাইনুল হোসেইন অপু।
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি