মেলা যেন ষোল কলায় পূর্ণ


প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বলা যায় মেলার শেষ প্রহর। মাস ছুঁইছুঁই অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামবে আর মাত্র তিন দিন পর। আবেদন থাকলেও মেলার সময়সীমা আর বাড়ছে না, তা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।

যে সময়টির জন্য প্রকাশক, লেখক আর মেলা আয়োজকরা অপেক্ষা করতে থাকেন সেই মাহেদ্রক্ষণের দেখা মিলেছে শুক্রবার ছুটির দিনে। এদিন যেন একুশেমেলা পরিপূর্ণতা পেয়েছে। মানুষের পদভারে মেলা প্রাঙ্গণে তিল ধরার ঠাঁই ছিল না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় মেলা এমনিতেই জমে উঠে। শুক্রবার মেলা শুরু হয়েছে সকাল ১১টায় শিশু প্রহরের মধ্য দিয়ে। অগণিত শিশু আর তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় সকাল থেকেই প্রাণে প্রাণে ভরে যায় একুশে মেলা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল এলেও শিশুদের অনেকেই আর ঘরে ফিরে যায়নি। তারা যোগ দিয়েছে বিকেলের মেলাতেও।

Book-Fair

এভাবেই মেলার শেষ শুক্রবার যেন ভিন্নরূপে জমে ওঠে। বিকেল হতে না হতেই মেলায় প্রবেশের দীর্ঘ লাইন। অনেকেই ঘণ্টাব্যাপী লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মেলায় প্রবেশের সুযোগ পায়। অমন সুযোগ পেয়ে কাউকে কাউকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়।

মিরপুর থেকে শামীমা আখতার এসেছেন শিশুকন্যা স্বর্ণকে সঙ্গে নিয়ে। আগের শুক্রবারেও এসেছিলেন। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আর তো ছুটি পাবো না। শেষ শুক্রবার। তাই মেয়েকে নিয়ে মেলায় এসেছি। দিন ভর ঘুরছি। নিজের জন্য, ওর জন্য বেশ কয়েকটি বইও কিনেছি।’

Book-Fair

মেলার শুরুতে অধিকাংশ দর্শনার্থী এসে ঘুরে ঘুরে শেষের দিকে বই কেনাতে মন দিয়েছে সবাই। আগের পছন্দ করা বই দেখা যায় সবার হাতে হাতেই।

সময় প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘মেলার শেষ দিনগুলোও উপরেই আমাদের ব্যবসার ভরসা। দু’দিন আগের ঝড়োবৃষ্টি আমাদের ভুগিয়েছে বেশ। তবে আজকে ছুটির দিনে কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। বই বিক্রিও হলো ভালো।’  

এএসএস/একে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।