পার্বতীপুরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আ.লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৬
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা না হলেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বেলাইচণ্ডি ও হাবড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাছাইয়ের সময় সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পাঁচ সমর্থক আহত হন। পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে।
বিকেল ৫টায় বেলাইচণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য ৯৬ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি এক বৈঠকে মিলিত হয়। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈদুল আলম শান্তু, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ইউনুছ আলী পীর ও থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্ভাব্য প্রার্থী নুর মোহাম্মদ রাজা দাবি করেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির ৯৬ জন সদস্যের মধ্যে ৮৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুই জন ছাড়া বাকি ৮৫ জন তাকে হাত তুলে সর্মথন দিলে মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থী মমিনুল মণ্ডল সম্রাটের সমর্থকরা তার সমর্থকদের মারধর করেন ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর চালায়। এসময় তার ছয় কর্মী আহত হন। এসময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ সাত হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়।
আহতরা হলেন, আ. সালাম (৩০), নজরুল ইসলাম (৬৫), রেজা (৩৫), ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন (৪৫) ও জয়নাল (৪০)।
সম্ভাব্য প্রার্থী মমিনুল মণ্ডল সম্রাট বলেন, থানা কমিটি মনোনয়ন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন কোনো সংঘর্ষ বা মারামারি না হলেও পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছয় কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম মঙ্গলবার রাত ১১টায় জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলের পাশেই বড় আকারে কালী পূজা চলছিল। এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ছয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি পাঁচজনই বহিরাগত, নীলফামারী জেলার বাসিন্দা।
এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/এমএস