সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী

ড. কামালকে আমন্ত্রণ জানালে সংসদ প্রাণবন্ত হতো: মোকাব্বির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৫ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীর অধিবেশনে ড. কামাল হোসেনকে আমন্ত্রণ না করায় সরকারের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

তিনি বলেন, ড. কামাল ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর, গণপরিষদের সদস্য, তৎকালীন মন্ত্রী। যাকে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা কমিটির চেয়ারম্যান করেন। অতি অল্প সময়ে তিনি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন।

রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মোকাব্বির খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন ড. কামাল হোসেন। কিন্তু আজ সেই জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে গণপরিষদের সদস্য তিনিসহ অন্য যারা আছেন তাদের যদি আমন্ত্রণ জানানো হতো, উপস্থিত রাখা যেতো, তাদের যদি স্মৃতিচারণের সুযোগ দেওয়া হতো- তাহলে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত, সফল ও সুন্দর হতো বলে আমি মনে করি। কেননা ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল ড. কামাল হোসেন প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই সংসদের পদযাত্রা শুরু। এসময় তিনি বিভিন্ন সরকারের আমলে সংবিধান কাটাছেঁড়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আগামী নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোকাব্বির খান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জাতির সামনে অঙ্গীকার করতে হবে। ইসিকে জাতিকে আশ্বস্ত করতে হবে, মহান সংবিধানের আলোকে সব রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবকে উপেক্ষা করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। জাতি একটা সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মতো হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটা আছে কি না তা সন্দেহ। কিন্তু দুর্নীতিবাজ লুটেরা, অর্থপাচারকারীদের জন্য আজও এই সংসদে ইনডেমনিটির মতো কালো আইন পাস হয়।

গণফোরামের এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, কিছু বিষয় আমাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের সংবিধান, সংসদ, জাতীয় সংগীত- এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুললে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে। জাতি হিসেবে আমরা চরমভাবে লজ্জিত হবো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পরে যেসব সরকার দেশ পরিচালনা করেছে তারা কিন্তু একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। কখনো হ্যাঁ-না ভোট, কখনো আগের রাতে ভোট হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি... ।

এইচএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।