সাত খুনে দুই মামলা : আপিল বিভাগের দ্বারস্থ তারেক সাঈদ
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার একটি বাতিল চেয়ে আসামি র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক তারেক সাঈদের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এখন তিনি আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করেন তারেকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া। তারআগে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
পরে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে আমরা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছি। চেম্বার জজ আদালতে আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের করা মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন তারেক সাঈদ। ৭ মার্চ এই আবেদনের ওপর শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছিলেন বিচারপতি ইমদাদুল হক ও বিচারপতি এ এস এম নাজমুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপর আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে দিলে এই আবেদনের ওপর রবিবার নতুন করে শুনানি হয়। শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ওই দিন তারেকের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি মামলা করার ১২ দিন পর নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার মামলা দায়ের করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। এই যুক্তিতে দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল চাওয়া হয়েছে।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে অপর একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনার মূল আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গেলেও গতবছর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে সরকার।
এফএইচ/এনএফ/এবিএস