ইবিতে ফোকলোর বিভাগের ক্লাস হচ্ছে বারান্দায়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিস বিভাগের ক্লাস হয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের বারান্দায়। ফলে নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হতে হয় সদ্য চালু হওয়া এ বিভাগের ৮০ জন শিক্ষার্থীকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্লাস রুম সঙ্কটের কারণে প্রথমে এ বিভাগের ক্লাস অনুষ্ঠিত হতো মীর মশাররফ হোসেন ভবনের ১৩৪ নং কক্ষে। পরবর্তীতে ওই রুমটি সদ্য চালু হওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগকে দিলে সঙ্কটে পড়ে ফোকলোর স্টাডিস বিভাগ। বর্র্তমানে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় বিভাগটির ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) মিলনায়তনে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটারের সদস্য আশিক বনি, তারিকুল ইসলাম ও আরিফা সুলতানা, আল্পনা বলেন, প্রতিদিনই টিএসসিসিকেন্দ্রিক আমাদের কম-বেশি অনুষ্ঠান থাকে। সেখানে ক্লাস অনুষ্ঠিত হলে অনুষ্ঠানের পূর্বের প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠানে সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হতো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় এবং সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুু ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তাছাড়া কেন্দ্রীয় মিলনায়তন শিক্ষার্থীদের আড্ডার অন্যতম পছন্দনীয় স্থান। সেখানে সব সময়ই শিক্ষার্থীরা আড্ডা গানে মেতে থাকে। ফলে সেখানে ক্লাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য দূরহ হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে ফোকলোর স্টাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী মাসহুদুল হাসান জানান, টিএসসিসিতে ক্লাস করার সময় মনোযোগী হওয়া কষ্টকর। সেখানে প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠান থাকে। ক্লাস চলাকালীন বিভিন্ন সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এতে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটছে।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য চালু হওয়া এ বিভাগে এখনো কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। বাংলা বিভাগের ৪ জন এবং ইংরেজি বিভাগের দুইজন শিক্ষককে ধার করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে বিভাগটি।
ফোকলোর স্টাডিস বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, `আপাতত টিএসসিাসর দোতলায় অস্থায়ীভাবে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় অনুষদ ভবনের কাজ শেষ হলে সেখানে বিভাগটি স্থানান্তর করা হবে। যেহেতু এটি নতুন বিভাগ তাই এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষক নিয়োগ হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।`
এসএস/পিআর