বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশ এক মাসের মধ্যে স্থিতিশীল হবে: নিতাই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী

বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশ এক মাসের মধ্যেই স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। তার মতে, বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সরকার আছে, তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা না থাকায় তাদেরকে অস্থিতিশীল করা খুবই সহজ এবং গত ৫ মাসে তারা নানান সংকটে পড়ে গেছে। সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ: শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার শক্তি নয়, তারা পলাতক শক্তি। দেশের স্বাধীনতার দাবিতে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখনও তারা পালিয়ে গিয়েছিল এবং ২৪ এর আন্দোলনেও তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমান সরকার আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন এটা বিএনপির ইচ্ছার বাইরে নয়। বিএনপি তো আগেই ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপি অবশ্যই সংস্কার চায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, সংস্কারের দোহাই দিয়ে এই দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে চক্রান্তকারীরা দেশের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া। আর যতই সংস্কারের কথা বলা হোক না কেন, সেটা তো পার্লামেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। সংস্কার আমাদেরও কথা। আর বর্তমানে যারা সংস্কারের কথা বলছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু ছাত্র প্রতিনিধিরা বিএনপি এবং তার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যে আজেবাজে মন্তব্য করছেন, সেই মন্তব্য করার এখতিয়ার তাদের নেই। এসব কথার কারণেই মূলত সরকার বেকায়দায় পড়ে যাবে। তার সুযোগ নেবে পালিয়ে যাওয়া অপশক্তি এবং পার্শ্ববর্তী চক্রান্তকারী দেশ।

আরও পড়ুন

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, জিয়াউর রহমান ইতিহাসকে ধারণ করেন এবং তিনি এখনও প্রাসঙ্গিক। যত দিন যাবে, দেশ সংকটে পড়লে সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তাকেই অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো শরণার্থী মুক্তিযোদ্ধা আর বিএনপি হলো রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের প্রতিপক্ষ নয় বরং পরিপূরক ও আমাদের আন্দোলনের ফসল। আমরা তাদের কাজে সব রকম সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু সংস্কারের নামে যদি অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ করা হয় তাহলে দেশ অনেক বেশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যাবে। এই সংকট থেকে উত্তরণ এই দুর্বল সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং ষড়যন্ত্রকারীরা এর থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসন শাহিনের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মুস্তফা কামাল মজুমদার, নাট্যকার ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল আহমেদ, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মিজানুর রহমান, দৈনিক খোলা বাজারের সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম কলিম, নবী হোসেন নবী, এস এম কমর উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন, সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আহমেদ খান মন্টু, আমিনুল হক শাহিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক কাউসার আহমেদসহ ঢাকা মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কেএইচ/এএমএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।