গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমান, তুমুল উচ্ছ্বাস-স্লোগানে বরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
পূর্বাচলে ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

দীর্ঘ প্রতীক্ষা ফুরোলো। অবশেষে গণসংবর্ধনা মঞ্চে এলেন নেতা। নেতাকর্মী আর উৎসুক জনতার স্লোগানে স্লোগানে মুখর ৩০০ ফিট ও আশপাশের এলাকা। চারদিকে তুমুল উচ্ছ্বাস। মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে ভালোবাস ও শুভেচ্ছার জবাব দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রায় ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশে ফেরেন তারেক রহমান। তাকে গণসংবর্ধনা দিতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসে করে সে মঞ্চের উদ্দেশে রওনা করেন তারেক রহমান। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তিনি।

jagonews24

এর আগে সকালে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে যাত্রাবিরতির পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করে।

বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এসময় তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশলবিনিময় করেন এবং উপস্থিত সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বের হন তিনি। এরপর বিমানবন্দরের সামনে জুতা খুলে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করেন তারেক রহমান।

jagonews24

দলীয় সূত্র জানায়, খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করার বিষয়টি পরিকল্পনায় ছিল না। হঠাৎ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সামনে থাকা ফুল বাগানের ভেতরে চলে যান। সেখানে ঘাস ও কিছু গাঁদা ফুলের গাছ রয়েছে। সেখানে তারেক রহমান জুতা খুলে খালি পায়ে দেশের মাটিতে দাঁড়ান। একই সঙ্গে নিচু হয়ে মাটি হাতে নেন। এক দলা মাটি নিয়ে তা পরম মমতায় নাচাচড়া করেন।

দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি বাসে ওঠেন। এ বাসে করে তিনি ৩০০ ফিট এলাকায় তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাসে তার সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এএএইচ/কেএসআর/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।