মাতামাতি বিদেশিদের নিয়ে অথচ দেশের ফুটবলের করুণ দশা

রহমান মৃধা
রহমান মৃধা রহমান মৃধা
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২১

আমার ফেলে আসা ছেলে-বেলার দিনগুলো এখন অনেক দূরে। তবুও মনে পড়ে গেল আজ কিছু কথা। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল। চারদিন হোল স্টকহোম ছেড়ে মিউনিক, জার্মানিতে এসেছি কিছু নতুনত্বের খোঁজে।

পুরো বাংলাদেশ কেমন যেন হতাশার মাঝে চলছে। ঠিক তেমন একটি সময় আজকের শুভ সকালে সুদূর মিউনিক থেকে কিছু আশা আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কিছু কথা, আশাকরি ভালো লাগবে।

বিজ্ঞাপন

খেলাধুলার প্রতি যে জাতির এত ভালবাসা, তাদের সমস্ত আবেগ আর পাগলামির মধ্য দিয়ে যখন সফলতার ছোঁয়া মেলে, তখন শুনি বাংলার আকাশে বাতাসে জয়ের ধ্বনি।

নাগরিকের মনে-প্রাণে-ধ্যানে তখনই দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মে যে মুহূর্তে একজন সে দেশের হয়ে লড়ে। সে লড়াই হতে পারে অন্যায়, দুর্নীতি বা খেলাধুলার উপর।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই দুর্লভ মুহূর্তটি অর্জন করতে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে অনেক। এই জয়ের জন্য পৃথিবীর ধনী দেশগুলো কোটি কোটি ডলার খরচ করে।

১৭ কোটি মানুষের দেশ ক্রিকেটে যখন ভালো করতে পেরেছে ফুটবলে সেটা কেন করতে পারবে না? শুধু একটু সহানুভূতি এবং সাহায্যের হাত বাড়ালে তরুণ প্রজন্ম পারবে লাল সবুজ পতাকার হয়ে খেলতে বিশ্বকাপ ফুটবল।

এ বিশ্বাস আমি করি, এ বিশ্বাস অনেকেই করে। এ বিশ্বাস সারা বাংলাদেশ করুক এটাই এখন কাম্য।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ফুটবলার হান্ট কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশে। এখন শুধু হান্ট করাই আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো দক্ষ প্রশিক্ষণ দেয়া এবং আদর্শ নাগরিক হিসেবে খেলোয়াড়দের গড়তে সাহায্য করা।

খেলোয়াড়দের প্রাথমিক পর্যায়ে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার যাতে করে তারা আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে গড়ে উঠতে পারে।

এখন দরকার সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ যাতে করে আমরা আমাদের মিশন, ভিশন এবং পলিসিকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারি। আমরা খুঁজছি সেই দেশ প্রেমিকদের যারা সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে দেশের সবধরনের খেলাধুলাগুলো।

বিজ্ঞাপন

আমাদের দেশের ফুটবলের জৌলুস-গৌরব, ক্লাব আঙিনায়, মাঠে ফুটবলপ্রেমীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও আড্ডা আগের মতো নেই। গ্রামাঞ্চলের খেলা থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামে একটা সময় উপচেপড়া ভিড় হলেও দেশীয় ফুটবলের প্রতি সর্বসাধারণের এতটাই অনীহা হয়ে পড়েছে যে এখন বিনা টিকিটে খেলা দেখার প্রচার-প্রচারণা দিয়েও মাঠে দর্শক টানা কঠিন হয়ে গেছে।

পাড়া কিংবা মহল্লায় দেশীয় ক্লাবের পতাকা ওড়ানোর ধুম চোখে পড়ে না। দেশের ফুটবলের অসহায় চিত্র এবং দর্শকদের মাঠের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ার জন্য ফুটবল খেলার উন্নয়নে নিবেদিত লোকজনই অনেকাংশে দায়ী।

আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি খেলাধুলাকে। কারণ খেলাধুলায় আসক্ত হবে তরুণরা, ছাড়বে মদ, গাঁজা আর ইয়াবা যা আজ পুরো সমাজকে ধ্বংস করছে। সুশিক্ষা এবং খেলাধুলা তরুণদের মধ্যে ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ফিরিয়ে আনবে। খেলাধুলা শেখাবে কঠিন পরিশ্রম, জেতার প্রবণতা, বেঁচে থাকার অধিকার, মনুষ্যত্ববোধ, সুশিক্ষা এবং দেশপ্রেম।

বিজ্ঞাপন

খেলাধুলা আদর্শ নাগরিক হতে সাহায্য করে। আমার নিজের ছেলে-মেয়ে খেলাধুলা করে, আমি তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত খুব কাছ থেকে দেখছি। আমি দূরপরবাস থেকে ফুটবলার হান্ট একাডেমি করার উদ্যোগ নিয়েছি আমার বন্ধু সামসুদ্দিন সুমীর সঙ্গে। আমার সঙ্গে এখন অনেকেই এ কাজে যোগ দিয়েছে। এখন দরকার সবার অংশগ্রহণ।

ভালোবাসা এবং হৃদয় দিয়ে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে। আমরা ৬৮ হাজার গ্রামে ফুটবল খেলা দেখতে চাই, যাতে করে ভালো দক্ষ খেলোয়াড় খুঁজে পেতে পারি। সারা দেশ থেকে যদি একটি টিম দাঁড় করাতে পারি তবে নিশ্চিত আবারও গাইব সবাই সেই জাতীয় সংগীত এক সঙ্গে।

বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঠে লাল সবুজ পতাকা উড়বে আর আমরা গাইব ‘কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো, কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।’

বিজ্ঞাপন

আমি মানুষ নামের গ্রাম বাংলার সেই দূরন্ত পাগল ছেলেকে খুঁজছি। যে ছেলে লাল সবুজের উড়ন্ত পতাকা দেখতে চায় বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঠে। জীবন শুরুর পুরো সময়টুকুকে উৎসর্গ করতে চায় খেলাধুলার মাঝে। খালি পায়ে নিজের হাতের তৈরি ফুটবল খেলছে এবং জেতার স্বপ্ন দেখছে, আমি তাকে খুঁজছি।

আমার তাকে দরকার যে নিজে পাগল ফুটবল খেলার জন্য। যে তার ধ্যানে জ্ঞানে, শয়নে স্বপনে এবং জাগরণে খেলছে তালপাতার তৈরি ফুটবল। যার পায়ে জুতা নেই, মোজা নেই, বল নেই কিন্তু সে পুরো পৃথিবীকে বল ভেবে লাথি মারছে আমি তাকে খুঁজছি।

দেশ ফুটবল সংকটকাল অতিক্রম করছে। ফুটবলের চলমান চিত্রে ফুটবলভক্তরাসহ এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলারদের সোনালি অতীত স্মরণ করে হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায় প্রায়ই। গত ১০ বছরে ফুটবলের মান বাড়েনি, বরং পেছনের দিকেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

দেশীয় ফুটবলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের কমতি ছিল না। ব্রিটিশ ভারতে দেশীয় ফুটবল খেলা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে এখন হারিয়ে গেছে ফুটবলের ফেলে আসা সেই সোনালি দিনগুলো। সেই সময়টাতে প্রিয় দল, প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা দেখার জন্য কাকডাকা ভোর থেকে ঢাকা স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারে ফুটবলভক্তরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকত টিকিটের জন্য।

ফুটবলপাগল দর্শকদের টিকিট হাতে পাওয়া মাত্র খুশিতে আত্মহারা হয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য ফটকপানে ছোটা, উৎফুল্লচিত্তে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চিত্র ছিল দেখার মতো। তবে বর্তমানে দেশের ফুটবলের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ দুঃখজনক। যদিও দেশীয় ফুটবলের এই দুরবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই দায়ী।

বড় ধরনের বাজেটের পরও ফুটবলের উন্নয়নে নেই যথাযথ পরিকল্পনা। মাঠের দূরবস্থার চিত্র তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এছাড়া বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে না পারা, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, উন্নত মানের সরঞ্জাম, ব্যায়ামাগার করতে না পারা, যা অন্যদের থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে আমাদের।

গোটা বিশ্ব কাঁপছে ফুটবলঝড়ে। দুই মহাদেশে শেষ হলো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর গণ্ডি পেরিয়ে যার উত্তেজনায় মেতেছিল পুরো বিশ্ব। ফুটবল কতটা জনপ্রিয় খেলা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাল্টাপাল্টি যুক্তি এবং তর্ক দাঁড় করিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাগযুদ্ধে সময় অতিবাহিত করছেন বিভিন্ন দলের সমর্থকেরা।

রাস্তার পাশে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, সব জায়গাতে চলে ভক্তদের মহারণ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ফুটবলও বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এশিয়া মহাদেশের হয়েও লাতিন কিংবা ইউরোপের দেশগুলোকে নিয়ে মাতামাতি, যৌক্তিক তর্ক-বিতর্ক, যা আবেগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশ অংশগ্রহণ না করলেও ফুটবলের উন্মাদনা যেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর থেকে কোনো অংশেই কম না। তবে যে দেশটিতে ফুটবল নিয়ে এত আবেগ, মাতামাতি ও উত্তেজনা সে দেশটি ফুটবল বিশ্বে অনেকটাই পিছিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ১৮৪ এ।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ বিষয়ে তেমন কারও মাথাব্যথাও নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষও যেন উদাসীন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য দেশগুলো উন্নতির দিকে এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশের চিত্রটা ঠিক তার বিপরীত।

এমন একটি সময় আমিও আমার বন্ধু সামসুদ্দিনের মতো পাগল হয়েছি তাই ছোট ছোট পাগল খুঁজছি, ফুটবলের পাগল। ফুটবল গোল তাই তার শুরু বা শেষ নেই। পা দিয়ে খেলতে হবে তার কোনো দরকার নেই। আমরা ফুটবলকে মাথা দিয়ে খেলতে চাই- হেড টু হেড।

পা থেকে মাথা, মাথা থেকে পা, পরে মাথা থেকে মাথা শেষে বলটিকে গোলে ঢুকানো, পুরোটাই পাগলামি। বল গোল, মাথাও বেশ গোল কিন্তু ফুটবল খেলার মাঠ এবং গোলপোস্ট আয়তক্ষেত্র। মাথা গোল, বল গোল, তাই আমরা কয়েকজন হয়েছি পাগল।

তাইতো লাল সবুজের পতাকা বিশ্বকাপ ফুটবলের সেই মাঠে দেখতে চাই। এখন যারা আমার মতো ফুটবলের পাগল তাদের আমি খুঁজছি। সব পাগল একত্রিত হয়ে আমাদের পাগলামি শুরু করতে চাই, ফুটবলার হান্ট একাডেমিতে।

পৃথিবীতে জন্মেছে অনেক পাগল যেমন আর্কিমিডিস, লাইলি-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট আরো কতো জানা অজানা পাগল। বাংলাদেশে দরকার মাত্র ২২ জন পাগলের, যারা ফুটবলের পাগল। তারা আর্কিমিডিসের মতো বলের পিছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হঠাৎ গোলের মধ্যে বল ঢুকিয়ে বলবে, গোল...গোল...আমি সেই পাগলদের খুঁজছি।

এসব পাগল বাংলার অলিতে-গলিতে পড়ে আছে, আমি এখন তাদের সন্ধানে। তাদের জন্য আমরা একটি একাডেমি তৈরি করতে নেমেছি। এখন দরকার সবার সাহায্যের। সাধারণ লোকের দ্বারা এ কাজ হবে না, পাগল হতে হবে, তাও ফুটবলের পাগল।

আছেন কি এমন কেউ? তাহলে জলদি করে চলে আসুন আমাদের সঙ্গে, ‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’। আমাদের একটি মজবুত সংগঠন তৈরি করতে হবে। যারা দেশে আছেন তাদের যেমন সাহায্যর হাত বাড়াতে হবে ঠিক তেমনি যারা বিদেশে আছেন তাদেরকেও এ কাজে থাকতে হবে।

কারণ ফুটবলের এসব পাগলদের মধ্যে একটি জিনিস ঢুকাতে হবে তা হলো, তারা যেন সার্কাসের মতো করে বলের জাদুকর হতে পারে, তাই দরকার প্রশিক্ষণের। কারণ বল শুধু পায়ে নয়, তাকে মাথা, বুক, হাঁটুর সাহায্য নিয়ে গোলে ঢুকানো শেখাতে হবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উপস্থাপিত হবে দেশীয় ফুটবলের রূপকথার গল্প। আর সে জন্য কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি। তৃণমূল পর্যায় থেকেই প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বের করে আনতে হবে। তাদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যা করতে হবে।

দেশের মাঠগুলোর বেহাল দশা দূরীকরণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ব মানের কোচ, আধুনিক ব্যায়ামাগার এবং সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে। মানহীন বিদেশি খেলোয়াড়দের পরিবর্তে দেশীয় প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে হবে।

ক্লাব ফুটবলগুলোর উন্নয়নে ব্যাপকভাবে তদারকি করতে হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সবার সার্বিক সহযোগিতা জরুরি। বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে এবং ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশও একদিন ফুটবল বিশ্বে সফলতার প্রতীক হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা দখল করবে।
শুধু ফুটবলের পাগল হলেই হবে না। মানে গোল দেবার সময় তারা পাগল থাকলে চলবে না, গোল কিভাবে দিতে হবে তা জানা থাকতে হবে।

এই জানা বা শেখার জন্য দরকার প্রশিক্ষণের এবং এ প্রশিক্ষণ পেতে হলে আনতে হবে দেশ-বিদেশের ফুটবলের ওপর যারা পারদর্শী, তাদেরকে। দরকার কিছু অর্থের। একের বোঝা দশের লাঠি। তাই সবাই যদি চেষ্টা করি জয়ী আমরা হবোই।

সবচেয়ে মজার জিনিস হলো, পরের সন্তানদের জন্য কিছু করতে শেখা। আমরা সারাজীবন শুধু নিজেদের সন্তানের জন্যই সব কিছু করি, যে কাজ সবাই করে বা করতে পারে।

এই যে কয়েকদিন আগে গেলো কি মারাত্মক দাপোট ব্রাজিল অবং আর্জেন্টিনা নিয়ে, অথচ কি হবে নিজেদের তা কেউ ভাবছে না! আশ্চর্য! প্রতি দুই বা চার বছর পর পর সারা দেশের মানুষ পাগল ফুটবল নিয়ে, তারপর?

আর কতদিন চলবে এভাবে? শুধু লেখাপড়া আর কম্পিউটারের গেমস খেললেই কি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতি পারা যাবে? জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয় কী? কবে বাংলাদেশ বিশ্বের সারিতে সম্মানের সাথে দাঁড়াবে এবং তার জন্য আমাদের কি করণীয়, সেটাও তো ভাবতে হবে। নিজের সন্তান না পারুক অন্যের সন্তান যদি পারে তার জন্য কি করণীয়?

অন্যের সন্তানের জন্য কিছু করতে পারার কথা ভেবেছি কি কখনও কেউ? আরেকটি কথা ফুটবল মুখে না খেলে কি ভাবে পা দিয়ে খেলা সম্ভব তার জন্য রাজ করি এবং যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদের প্রতি অনুরোধ প্লিজ ড্যু ইট ওর লিভ ইট। আসুন সবাই মিলে তেমনি একটি সুন্দর উদ্যোগ নেই।

আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমরা মজা খুঁজে পাব এ কাজে। আমরা গড়ে তুলব নতুন বাংলাদেশ। আমরা শেয়ার করব আমাদের সাফল্য সবার সঙ্গে। কারণ শেয়ার ভ্যালুর মূল্য অনেক এবং তা মানবতাবোধের শ্রেষ্ঠ উপহার। ওয়াও! ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন থেকে, rahman.mridha@gmail.com

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com