বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্টের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট মিলো জুকানোভিচ।
স্থানীয় সময় ৯ ডিসেম্বর মন্টেনেগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান দেশটির সটেনিয়েস্থ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তার পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
পরিচয়পত্র দেওয়ার পরে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এক আলোচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান এবং মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্টও তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
আলোচনায় উভয়ে বাংলাদেশ ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য বিশেষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য উৎপাদন ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশ নেওয়ার মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের ‘রোল মডেল' হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে জানান। আলাপকালে তারা উভয়ই বস্ত্রখাত, বাণিজ্য, পর্যটন ও দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগের মতো বিষয়গুলোতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ব্যাপারে দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্বেচ্ছায় নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মন্টেনেগ্রোর সহায়তা কামনা করেন। প্রেসিডেন্ট জুকানোভিচ রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক পদক্ষেপের গভীর প্রশংসা করেন ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তার সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং তার দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাগ্রহে গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে মন্টেনেগ্রো ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে একটি সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী পেন্ডোরা চৌধুরী ও রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এআরএ/জেআইএম