লিসবনের ঐতিহ্যবাহী বাহন ট্রাম ২৮

আবু সাঈদ
আবু সাঈদ আবু সাঈদ , পর্তুগাল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ২৮ জুলাই ২০২২

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ঐতিহ্যবাহী একটি বাহন ট্রাম ২৮। এর যাত্রা ১৯১৪ সালের দিকে। শুরুর দিকে পাহাড়ে ঘেরা উঁচু প্রবল বাতাসের রাস্তা পাড়ি দিতে ঘোড়ার মাধ্যমে চালনা শুরু হয়েছিল ট্রাম ২৮। তখন থেকেই ট্রাম স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় বাহনের খ্যাতি অর্জন করে।

যেন ট্রামের আবির্ভাবই হয়েছিল শত শত বছর ধরে লিসবন শহরের ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে নিজেকে ধারণ করা, যা এখন প্রাচীন ঘোড়ায় চালানোর পরিবর্তে আইকনিক হলুদ বৈদ্যুতিক বাহনে প্রতিস্থাপিত হয়েছে মাত্র।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আশা ভ্রমণ-পিপাসুদের কাছে ট্রাম বেশ নজর কেড়ে নিয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ উপভোগের আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু ট্রাম ২৮। লিসবনে বেড়াতে আসবে কিন্তু ট্রামে করে শহরের উঁচু জায়গাগুলো ভ্রমণের ইচ্ছে পোষণ করবে না তেমনটা হতে পারে না।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যাত্রীবাহী ট্রাম মূলত কাঠের কারুকাজে শৈল্পিক এক রূপ ধারণ করেছে। ট্রামের মেঝে কাঠের, জানালা কাঠের ফ্রেমের, তার সঙ্গে হলুদ রংয়ের পরশ দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রামকে।

যে রাস্তায় ট্রাম ২৮ যাতায়াত করে সেই রাস্তাটি মূলত প্রায় ৭ কিমি দীর্ঘ। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র গ্রাচা, আলফামা, বাইক্সা চিয়াডো, সান্তা ক্যাটারিনা ও এস্ট্রেলার মতো জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম স্থানগুলো দিয়ে যাতায়াত করে।

ট্রামের শুরুর ছাউনি থেকে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট। ট্রামের যাতায়াত লার্গো ডো মার্টিম মনিজ থেকে শুরু হয়ে শেষ প্রান্ত লার্গো ডো প্রাজেরেজে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com