মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে কর্মী বুঝে নিতে হবে নিয়োগকর্তাদের

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী আসার পরে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বুঝে নিতে হবে। অন্যথায় যে দেশ থেকে কর্মী আসবে ফিরতি ফ্লাইটে সে দেশেই ফেরত পাঠিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাজাইমি দাউদ।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকারি সংবাদ সংস্থা বার্নামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগত কর্মীর ডকুমেন্ট ও প্রকৃত নিয়োগকর্তা যাচাইয়ের পর বিমানবন্দরে নিয়োগকর্তারা তাদের নতুন কর্মী বুঝে নিতে পারবে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্নামার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিবাসন বিভাগের নিয়মগুলো নিয়োগকর্তাদের মেনে চলতে হবে। কেএলআইএতে তাদের বিদেশি কর্মীদের ৬ ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সেই সময়কাল বাড়ানো হবে।

বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না যতক্ষণ না প্রকৃত নিয়োগকর্তা তাদের গ্রহণ করার জন্য কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আসে। সকল বিদেশি শ্রমিকের বৈধ নিয়োগকর্তার অধীনে থাকা নিশ্চিত করার জন্য এই প্রবিধান।

অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, প্রকৃত নিয়োগকর্তার অধীনে না থাকার কারণে কর্মীরা অবৈধ হয়, গ্রেফতার ও শাস্তির সম্মুখীন হয়। তাই ‘নিয়োগকারী এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে আগত বিদেশি কর্মীদের ‘নট টু ল্যান্ড’ (এনটিএল) নোটিশ দেওয়া হবে এবং তাদের পরবর্তী ফ্লাইটে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে।

বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়ে বিগত কয়েক বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে প্রকৃত নিয়োগকর্তা কর্তৃক বিমানবন্দরে কর্মীকে গ্রহণ করার শর্তটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সুষ্ঠু অভিবাসী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এ নিয়ম পরিপালনের জন্য নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করেছে।

অভিবাসী কর্মী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিহ্নিত করে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে যা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনরায় খোলার পর থেকে অভিবাসন বিভাগ ১ এপ্রিল থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৭৯ জন নতুন বিদেশি কর্মী প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে, জানালেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল দাজাইমি দাউদ।

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]